পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া নয়াহাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক গৃহবধূ। নিহতের নাম ফজিলাতুন্নেছা (২৮)। তিনি মোটরসাইকেলে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। গতকাল সোমবার সকাল নয়টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল নয়টার দিকে মোটরসাইকেল চালক মো. আলিমুজ্জামান সুজন (৩১) তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা এবং ৬ বছর বয়সী ছেলে হুমায়ের হাম্মাদকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া নয়াহাট এলাকায় পৌঁছালে তাদের সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ ব্রেক করলে তিনিও মোটরসাইকেল ব্রেক করেন। এতে পিছনে বসা স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা সিট থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে পেছন দিক থেকে আসা একটি লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস ওই নারীকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন ফজিলাতুন্নেছা। এসময় স্থানীয়রা দ্রæত তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী আলিমুজ্জামান ও ছেলে হাম্মাদও দুর্ঘটনায় আহত হন, তবে তারা বর্তমানে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক বাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস মহাসড়কে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী নারী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. চন্দ্রিকা দাশ বলেন, গুরুতর মাথায় আঘাত নিয়ে রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। মাথার পেছনের অংশ সম্পূর্ণ পিষ্ট হওয়ায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।
নিহত ফজিলাতুন্নেছার বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায়। তার স্বামী মো. আলিমুজ্জামান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত বলে জানিয়েছেন পুলিশ।











