বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের বন্দি রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশে পুশ-ইন করে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এসব মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ভারতে বাঙালিদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? বাংলাদেশে মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে, কিন্তু সেটা তো আলাদা দেশ। অথচ সমস্ত ভারতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্তে¡ও তাদের বাংলাদেশি বলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, আমার রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ) প্রায় দেড় কোটি শ্রমিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন। তাদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তা করা হচ্ছে। অথচ আমার রাজ্যেও অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকরা কাজ করে, আমরা তো তাদের কখনও হেনস্তা করি না।
কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাদের বাংলাদেশি বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজকেও আমার কাছে খবর এসেছে, রাজস্থানে পশ্চিমবঙ্গের ৩০০ শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে আটকে রাখা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঘটছে, যেখান থেকে আমাদের সরকার তাদের উদ্ধার করেছে।
মমতা বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যারা বাংলা ভাষায় কথা বলছেন, তারা কী অপরাধ করছেন? তারা কি বাংলা ভাষায় কথা বলবেন না? অন্য রাজ্যে কাজ করতে গেলে কি গুজরাটি বা হিন্দিতে কথা বলতে হবে? খুবই লজ্জাজনক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমার রাজ্যের অনেককেই বাংলাদেশি বলে বন্দি রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে তাদের পুশ-ইন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এসব কী হচ্ছে?
মোদী সরকারকে লক্ষ্য করে মমতা বলেন, বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন, তারা কী অপরাধ করেছেন? স্বামী বিবেকানন্দ,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর—তারা কোন ভাষায় কথা বলতেন? তারা কি সব ভুলে গেছে? বাংলাকে দেখলেই কি অত্যাচার করতে হবে? তাহলে স্পষ্ট বলে দিক, বাংলা নিষিদ্ধ।
সোমবার নবান্নে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, আমরা কখনও বেআইনি কিছু করি না। গতকাল বাংলাদেশের হাইকমিশনার আমার কাছে এসেছিলেন। আমি প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভারত সরকারের অনুমতি আছে কি না। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।