বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বরাদ্দে জনগণকে হতাশ করেছে। জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মৌলিক অধিকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। যার কারণে দারিদ্রের হারবেড়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্টি দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র হয়ে যাবে। আমরা প্রতিবারই দেখি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির অনুপাতে খুবই কম। বিএসপি মনে করে মানবসম্পদ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। জিডিপির ২% এর নিচে এ বরাদ্দ।
অথচ প্রয়োজন ছিলো অন্তত ৪%। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষা খাতে, বিশেষত কারিগরি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জরুরি। শিল্প-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট রূপরেখা বা নীতি আমরা বাজেটে দেখছি না। বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানোতে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রক্রিয়া এলডিসি উত্তরণে সহায়ক হলেও তা দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
গত ৩ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি’র জাতীয় স্থায়ী পরিষদের সভায় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তবে এ অন্তর্বর্তী সরকার প্রচলিত রাজনৈতিক সরকারের বাজেটের ধরনকে অনুসরণ না করে নতুন এক উদাহরণ তৈরি করতে পারতো। যেখানে সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত হতো এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা যেতো। তা করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি