দেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ‘সীমান্ত সম্মেলন’ শুরু হচ্ছে আজ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর দুই দেশের মধ্যে মহা পরিচালক পর্যায়ে এটাই হবে প্রথম সীমান্ত সম্মেলন।
গতকাল রোববার বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৫৫তম এই সীমান্ত সম্মেলন হবে। খবর বিডিনিউজের।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এবারের সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা ও মাদকের কারবারসহ যাবতীয় সমস্যা নিয়ে অতীতের তুলনায় ‘ভিন্ন সুরে’ কথা বলবে বাংলাদেশ।
এ সম্মেলন গত নভেম্বর মাসে হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের কারণে তিন মাস পিছিয়ে এ বছর ফেব্রæয়ারিতে নতুন সূচি রাখা হয়।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেবে।
পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন বৈঠকে।
বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল এ সম্মেলনে যোগ দেবে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও দেশটির স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন।
বিজিবি বলছে, সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের ওপর গুলি, সীমান্ত হত্যা-আহত-আটক-অপহরণ রোধ, ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াসহ অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ এবং চলমান অন্যান্য উন্নয়ন কাজ নিষ্পত্তির নিয়ে আলোচনা হবে উভয় দেশের।
পাশাপাশি ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাÐ সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের বিষয়টিও থাকবে আলোচনার টেবিলে।