পূর্বদেশ ডেস্ক
বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের তুলনায় মোট ঋণ (৩৭ শতাংশ) বেশি নয়। বাংলাদেশের যে অবস্থা সেটিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সন্তুষ্ট এবং তারা বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কখনোই তার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। এটি অত্যন্ত চমকপ্রদ প্রোফাইল বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে তিনি একথা বলেন।
চার্লস হোয়াইটলি জানান, এশিয়ার অনেক দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় মোট ঋণের পরিমাণ ৮০ শতাংশ। ইইউ দেশগুলোতে এটি ৮০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং এর অর্থ হচ্ছে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ একটি ভালো দেশ। এ জন্য ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
ব্যাংকটি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিচ্ছে। স¤প্রতি ২০০ রেলওয়ে ক্যারেজ কেনার জন্য তারা অর্থ সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা করেছে। কয়েক বছর আগে রেলওয়েকে ব্যাংকটি কিছু ঋণ দিয়েছিল। সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের ঋণ আমরা আরও বেশি দেখতে পাবো বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন ধরনের ইইউ রেগুলেশনের বিষয়ে তিনি জানান, অনেক এশিয়ান দেশ এটির বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ এ বিষয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক। তবে তৈরি পোশাক শিল্পের দাম কেন বাড়ছে না এটি নিয়ে বাংলাদেশিদের অসন্তুষ্টি আছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তিনি জানান, বাংলাদেশিদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি আমি বুঝতে পারি এবং এটি ঠিক আছে। আমার অংশীদাররা যদি আমাকে বিনিয়োগ করতে বলে, আমি অবশ্যই এখানে কিছু লাভ চাইবো। ইউরোপিয়ান মানদন্ড অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে এবং তারা মুনাফা চায়।