নিজস্ব প্রতিবেদক
‘গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন কোমড় ব্যথায় ভুগছেন। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ বা অপারেশন সমাধান নয়। কোমড় ব্যথার কারন নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে’। গতকাল ফিজিওথেরাপি দিবসের সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল রবিবার বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগন নগরীর একটি রিহ্যাব সেন্টারে সাধারন মানুষের মধ্যে কোমর ব্যথায় ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভ‚মিকা বিষয়ে সচেতনতা সেমিনার করেন।
চট্টগ্রামের ফিজিওথেরাপির চিকিৎসকদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট নিউরো এন্ড স্পোর্টস ফিজিও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রয়াস চট্টগ্রাম শাখার ফিজিও ডা. জাহেদ ও বিশেষজ্ঞ ফিজিও ডা. শহীদ খানসহ অন্যান্য ফিজিওথেরাপিস্ট, বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরিচালক, মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট, বিভিন্ন রোগী ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসে এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোমর ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপিস্টের ভ‚মিকা রয়েছে’।
সভায় আলোচকবৃন্দ আইনের ধারা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তথা ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা স্বীকৃত পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত প্রদত্ত ৫ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল) ডিগ্রি। তারা রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাক্টিশিনার হিসেবে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করবেন। অনুরূপভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে ৩-৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলোজি (ফিজিওথেরাপি) তে সনদ প্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্টগন আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টদের তত্ত¡াবধানে সেবা প্রদান করবেন। কোন ভাবেই ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা টেকনিশিয়ানগন নিজেদের ফিজিও দাবী করা বা সরাসরি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জনগনকে সচেতন হতে হবে।