পূর্বদেশ ডেস্ক
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত অমীমাংসিত ইস্যু এড়িয়ে গেছে দেশটি। দুই দেশের বৈঠকের বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে এই ইস্যুগুলো নেই। গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। খবর বাংলানিউজের।
বৈঠকে বাংলাদেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় উত্থাপন করে। এর মধ্যে ছিল, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রেরিত বিদেশি সাহায্যের অর্থ হস্তান্তর এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।
পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হিস্যা ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বিদেশ থেকে আসা ২০০ মিলিয়ন সমপরিমাণ ডলার হস্তান্তরের আহবান জানানো হয়েছে।
তবে বৈঠকের একদিন পর ১৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে অমীমাসিংত বিষয়গুলোর কোনো উল্লেখ নেই।
পাকিস্তানের বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা, এমনকি জম্মু ও কাশ্মীর ‘ভারতের অবৈধ দখলে’ রয়েছে দাবি করে এর সমাধানের মতো ইস্যু নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকলেও অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নেই।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সবশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এবার দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো।