বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে এক কূটনৈতিকপত্রে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপের ওসমান (৬০) নিহত হন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি মাছ ধরতে থাকা প্রায় ৫৮ বাংলাদেশি এবং ওসমানের নৌকাসহ ছয়টি জেলে নৌকা অপহরণের ঘটনা। খবর বিডিনিউজ’র
এ বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো কূটনৈতিকপত্রে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জেলের মৃত্যুর খবর আসে বৃহস্পতিবার। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরো দুই জেলে।
ট্রলার মালিকরা বলছেন, ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল এলাবায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী গুলি চালায়। তাতে ট্রলারে থাকা জেলে মো. ওসমান নিহত হন। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারে কাজ করতেন তিনি।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়।
পরে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয় জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের অযাচিত পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ভৌগোলিক জলসীমার অখÐতাকে পুরোপুরি সম্মান জানানোর এবং আরও কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা মিয়ানমারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।