বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমীপেষু

6

আমরা সাধারণ জনগণ। আপনাদের দপ্তরে বা অফিসে আমাদের কাজ না থাকলে আপনাদের নিয়োগ বা চাকরি বা উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে অফিসের কোন প্রয়োজন আছে বলে জনগণ মনে করেন না। কিন্তু আমাদের কাজ আছে, তাই প্রয়োজন আছে আপনাদের অফিস এবং আপনাদেরও। জানি, অন্যান্য অফিস বা দপ্তরের চেয়ে ভূমি অফিসের উপরি লেনদেন একটু বেশি বৈ কি! এটা ‘ওপেন সিক্রেট’। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও আমাদের মেনে নিতেই হচ্ছে। শত ক্ষোভের মাঝেও কোন উপায় নেই যে, আমরা উপরি দেয়া-নেয়া ছাড়া কাজ আদায় করতে পারবো। কিন্তু এরকম পাবলিক অফিসে ন্যূনতম সম্মানটুকু আশা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকদিন ধরে প্রয়োজনীয় একটা কাজ করে নেয়ার ছিল। তাই ভয়-সংকোচ উপেক্ষা করে সম্প্রতি পৌরসভার জলদী ভূমি অফিসে গেলাম, স্বচক্ষে দেখলাম এবং নিজেও ন্যূনতম সম্মান আদায় থেকে অপারগ হলাম। সম্মানিত তহসিলদারের সাথে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বললাম, আমার পরিচয় দিলাম, তবুও একটু বসে কথা বলার সুযোগটা হলো না। নিজেকে ভিখারি ভিখারি মনে হলো। ভাবলাম আমরাই তো জনগণ। এই অফিস আমাদের। আপনারা যারা আজ অফিসার তাঁরাও আমাদের। তাই বলে নিজেকে দেশের ভিখারির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া! ভাবতে কেমন কেমন লাগছে। ন্যূনতম বসে কথা বলা কি আমরা আশা করতে পারি না! তহসিলদার জানালেন, ‘চেয়ার সরিয়ে নিয়েছি’।
কোন্ কাজটি অফিস করবে সাধারণ জনগণ বুঝে নিতে পারছে না। অনলাইনের অজুহাতে ‘সবকাজ অফিসের বাইরে’। দালাল মুক্ত হলো, না দালাল যুক্ত হলো। এটা বুঝতে কিছুক্ষণ একটু ভাবতে হবে।

সঞ্চয়ন বড়ুয়া
জনগণের পক্ষে
বাঁশখালী পৌরসভা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।