বাঁশখালীর সরলে হামলা গোলাগুলি, আহত ৩০

7

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীর সরলে লবণ মাঠ নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সরল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে মৃত মালেকের ছেলে ফোরকান (৩০), বদি আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৮), মৃত নুরুল আমিনের ছেলে আজিজুর রহমান (৫০), মৃত আমিরুজ্জামানের ছেলে নুর হোসেন (৩৭), জাফর আহমদের ছেলে দেলোয়ার (৩৮), মনসুর আহমদের ছেলে শাহজাহান (৩০), আঙ্গুর মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৩১), মৃত নাসু মিয়ার ছেলে জমির উদ্দীন (৫০), মৃত আহমদ সফার ছেলে আবদুল করিম (৪৫), মো. শাকিল (২১), মো. রাকিব (২০), লোকমান (২৭), সৈয়দ নুর (৪৫), নয়ন (১৯), শাহাব উদ্দীন (৩২), মো. ইউনুস (৩২), মো. পারভেজ (২৩), মো. রাশেদ (২৩), মো. হাবিব (২৪), আবদুল আলিম (৪৫), মো. তৈয়ব (৫২), আবু তালেব (৬০), ও মো. ফরিদের (৫২) নাম জানা গেছে।তাদের মধ্যে মো. ফোরকান (৩০), মো. মাহিম (১৮), আজিজুর রহমান (৫০) ও নুর হোসেনকে (৩৭) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং মো. দেলোয়ার (৩৮), শাহজাহান (৩০), মো. রুবেল (৩১), জমির উদ্দীন (৫০) ও আবদুল করিমকে (৪৫) বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর সরল এলাকার জাফর আহমদের ছেলে বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন তার লবণ মাঠ থেকে ফিরছিলেন। তিনি নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছলে লবণ মাঠ নিয়ে তার বিরোধী পক্ষের আমানুল্লাহ ও কবির হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন দেলোয়ারকে আটকে রেখে মারধর করেন। খবরটি তার সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা এগিয়ে এলে আমানুল্লাহ ও কবিরের নেতৃত্বে দেলোয়ারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দেলোয়ারের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় বলে জানান আহতরা।
চমেক হাসপাতালে পাঠানো গুলিবিদ্ধ মো. মাহিম জানান, আমরা দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। হামলাকারীরা সকলে আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারী।
অপরপক্ষে কবির হোসেন জানান, দেলোয়ারের লোকজনই আমাদের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। আমাদেরও বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। তবে তাদের হামলার ভয়ে আমরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি।
গতকাল বিকেলে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ, বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীর সরলে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মাঝে লবণ মাঠ নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা বারবার উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। সময়ে সময়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মাঝে এরকম মারামারি হয়। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। সেখানে সেনাবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।