বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ জেলে। এ সময় তারা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে সরল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেন।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটাস্থ ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করেন জেলেরা। এ সময় জেলেরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তারের অপসারণ ও বিচার দাবি করেন।
জানা গেছে, বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে ৬৯১ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি করে ৩৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার ২৬ টন চাল উত্তোলন করে বাকি চাল আত্মসাৎ করেন এমন অভিযোগ করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন জেলে নুরুল ইসলাম। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একবার কিছু জেলেকে ৩২ কেজি করে চাল দেন। রবিবার সকালে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করার কথা ছিল। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে কয়েকশ জেলে পরিষদে চাল নিতে গেলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন জেলেরা।
জেলে নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একবার ৩২ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে অনেক জেলে সেই ৩২ কেজিও পাননি। চাল না পেয়ে আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জেলে মনির উদ্দিন, মোহাম্মদ তৈয়ব, বাবুল দাশ, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ হাসান জানান, মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও কাউকে ২৮ কেজি, কাউকে ৩২ কেজি করে চাল দেন। অধিকাংশ জেলেকে চাল না দিয়ে ফেরৎ দেন। স্থানীয়রা জানান, এর আগেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীবের জন্য বরাদ্দ করা ভিজিএফ চাল অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার জানান, জেলেদের জন্য ২৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ পাই। আমি ৩৮ কেজি করে দিয়েছি। রবিবার জেলেদের চাল দেওয়ার সিডিউল ছিল না। একজন মেম্বার লোকজনকে উস্কে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, সরলে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয় শুনেছি। খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।