বাঁশখালীতে ৫ দোকান পুড়ে ছাই

1

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া হাবিবের দোকান এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন মোহাম্মদ কালু, এন্তু মিয়া ও নেছার আহমদের শুটকির আড়ত, সৈকত আলীর মিষ্টির দোকান এবং মোহাম্মদ জাকারিয়ার লাকড়ির ও মুরগির দোকান।
জানা গেছে, সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৬ টার দিকে হঠাৎ দোকানগুলোতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর আপ্রাণ চেষ্টার পরও অগ্নিকান্ডে মুহুর্তের মধ্যে দোকানগুলোর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা- মোহাম্মদ জাকারিয়ার লাকড়ির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর এই বাজারটি সরকারিভাবে ৪ লক্ষাধিক টাকায় ইজারা নেয়া হলেও বাজারটির কোথাও একটি নলক‚প পর্যন্ত নেই। নেই কোনো পরিবেশ ও অবকাঠামোগত সুবিধাও। সেখানে কোনো গণশৌচাগারও নেই। আশেপাশে পুকুর-জলাশয় ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় দোকানের কোনো জিনিসপত্র রক্ষা করা যায়নি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল বাশার জানান, চেচুরিয়া বাজারের অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ সহায়তা দেন। এসময় উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মাস্টার লোকমান আহমদ, সদস্য সচিব সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী ও বিএনপি নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রমুখ তার সাথে ছিলেন।