বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে একটি বন্যহাতি হত্যা করে দাঁত ও নখ নিয়ে গেছে শিকারিরা। এই ঘটনায় বনবিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের জলদী রেঞ্জের পাইরাং বিটের আওতাধীন চেচুরিয়ার মনুমার ঝিরি এলাকার একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ৭-৮ বছর বয়সী হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চেচুরিয়ার মনুমার ঝিরি এলাকায় হাতিটি কয়েকদিন ধরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকলেও বন বিভাগ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জলদী রেঞ্জের রেঞ্জার শাহ আলম জানান, হাতিটির শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটির পিঠে-বুকে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতিটিকে দুই বা তিন দিন আগে হত্যা করা হতে পারে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা নিশ্চিত করে, শিকারিরা হাতিটিকে হত্যা করার পর দাঁত ও নখ কেটে নিয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কমপক্ষে ১০২টি বন্যহাতি মারা গেছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এর মধ্যে ১৬টি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে, আর পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। ৫৩টি হাতি বার্ধক্যজনিত জটিলতা বা হৃদরোগের মতো প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছে। দুর্ঘটনায় মারা গেছে কমপক্ষে ১৭টি। বাকিগুলোর মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলে মানুষ-হাতির সংঘাতে ৪৪ জন ব্যক্তি মারা গেছে। হাতি হত্যায় ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।