বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম সরল সাগর চর এলাকায় গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘোনার দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ ৫জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন, জয়নাল আবেদীন (২৮) , নেজাম উদ্দিন (৩২),সাইফুল ইসলাম (১৭), মোহাম্মদ জাবেদ (২২) ও নেছার উদ্দীন (২৮)। তাছাড়া আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতদের সকলের বাড়ি সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল এলাকায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবরে সংঘর্ষ থেমে গেলেও এখনো ওই এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বিকালে সাগর উপকূলের সরল এলাকায় লবণমাঠ ও চিংড়ি ঘোনার দখল নিয়ে স্থানীয় মনসুর মেম্বার ও কবির আহমদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে দা কিরিচ লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক দেখা দেয়।
সন্ধ্যার দিকে আহত গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে বাঁশখালী হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাঁশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলমগীর চৌধুরী জানান, সরলের সাগর চরের দখল নিয়ে সংঘাত সংঘর্ষ দীর্ঘ দিনের। মাঝখানে কয়েক বছর তা বন্ধ থাকলেও সরকার পরিবর্তনের পর আবারো সংঘাত সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী গ্রুপের সংঘাতে সাধারণ মানুষ আতংকিত বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৬-৭ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত। কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে সরল এলাকার সাগর চরের দখল বেদখল নিয়ে দুটি পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলে আসছিল।