বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী উপজেলা সদরের স্পেশাল কাউন্টার সংলগ্ন সড়কের বড় একটি অংশ একপাশ ধসে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুতের তার ও খুঁটির উপর গাছ ভেঙে পড়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বাসা বাড়ি ও ভবনগুলোতে পানি তুলতে না পেরে তীব্র পানি সংকট বিরাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আতিকুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় খুঁটিও ভেঙে গেছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে উপকূলীয় খানখানাবাদ, ছনুয়া, বড়ঘোনা, গন্ডামারা, চাম্বল ও বাহারছড়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। অন্তত ১০-১২টি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া, খানখানাবাদ ও রায়ছটায় বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনাপানি প্রবেশ করেছে। অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
বাঁশখালী প্রধান সড়কে গুনাগারী ও কয়েকটি স্পটে গাছ ভেঙে পড়ে সাময়িক সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হলেও পরবর্তীতে সেগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বেশ কিছু গ্রমীণ সড়কে রাস্তার উপর গাছ পড়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎকর্মীরা কাজ করছে বলে তাকে জানিয়েছে।