বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে মামলা তুলে না নেওয়ায় দিনে দুপুরে বাদীর বসতবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন মহিলাসহ অন্তত ৫ জন। এসময় ৩টি গরু ও একটি মোটরসাইকেলসহ দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় শের আলীর ছেলে মোজাহের আহমদ ও তার ভাই জহির আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেলোয়ার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামে শের আলীর ছেলে মোজাহের আহমদের সাথে একই এলাকার আলী আকবরের ছেলে দেলোয়ারের বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। ৩ মাস আগে মোজাহের আহমদের ছেলে শাকিলকে মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেলোয়ার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মোজাহের আহমদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে মোজাহের আহমদকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল দেলোয়ার ও তার লোকজন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে দেলোয়ারের নেতৃত্ব অর্ধ শতাধিক লোক মোজাহেরের বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে গালাগালি ও হুমকি ধমকি দেয়। এক পর্যায়ে মোজাহের আহমদ ও পরিবারের লোকজনকে মারধর এবং তার বসতবাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের দল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে একটি মুদি দোকান, একটি গোয়াল ঘর, খড়ের পালা ও একটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা ৩টি গরু ও একটি মোটরসাইকেলসহ দোকানের মালামাল লুট করে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় মোজাহের আহমদ, তার ভাই জহির আহমদ ও ছেলে শাকিলসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, খবর শুনার সাথে সাথে আমরা ফায়ারসার্ভিসসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
