বাঁশখালীতে জাফরুল ইসলামের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ

58

বাঁশখালী বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী প্রচারণাকালে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরল ইউনিয়নের সরল বাজারের কাছাকাছি স্থানে গণসংযোগকালে মুখোশধারী কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান। এতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌরসভা ছাত্রদল নেতা মোশাররফ হোসেন, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মুখোশ পরিহিত কিছু ব্যক্তি হঠাৎ জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর গণসংযোগে বাধা দেয়। এসময় বিএনপি প্রার্থী তাদের থামাতে চাইলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। আহত অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হলেও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জাফরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে বসে পড়েন। রাত ৮টার দিকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা গিয়ে সরল থেকে জাফরুল ইসলামকে মিছিল সহকারে পৌরসভা এলাকায় নিয়ে আসেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, বিকাল ৩টার দিকে গণসংযোগ শুরু করি। শেষ করে ফিরবো এ সময় সন্ধ্যার দিকে মুখোশ পরিহিত ৩০-৪০ জন বন্দুকধারী সন্ত্রাসী আমিসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। আমি বাধা দিলে আমাকেও বন্দুকের বাট দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। কর্মীদের উপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়।
তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁশখালীর পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হচ্ছে। আমি এমপি, প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। কখনো কারো সাথে এমন আচরণ করি নাই। আমি হামলার ভয়ে প্রচারণা বন্ধ করবো না। প্রয়োজনে এম্ব্যুলেন্স নিয়েই প্রচারণা চালাবো। গত ১৭ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সরল এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলাম। এ ঘটনায় অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলো।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, বিএনপির লেয়াকত গ্রুপ ও জাফর গ্রুপের পূর্বের বিরোধ ছিল। যে কারণে প্রচারণা চালাতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখানে অন্য কোনো প্রার্থী এ হামলার সাথে জড়িত নাই। খবর পেয়েই আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই।