বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর নতুন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৩ সন্তানের জননী নিহত জেসমিন আক্তার (২৮) ওই এলাকার ফজল কাদেরের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বসতঘর থেকে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করেন।
জানা যায়, গতকাল সকালে জেসমিন আক্তার তার বড় ছেলে ওসমান গণীকে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় পাঠায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়িতে এসে ঘরের ভেতরে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলমের কান্নাকাটির শব্দ শুনে মাকে ডাকাডাকি করে মায়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় গিয়ে ধাক্কা দিলে ভেতর দিকে আটকানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে জানালার দিকে গেলে তার মা জেসমিন আক্তার ঘরের চালার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে বাড়ির আশপাশের লোকজন জড়ো হয়।
খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তপন কুমার বাগচীসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করেন।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করলেও স¤প্রতি ফজল কাদের তার প্রথম স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। এতে তার প্রথম সংসারের স্ত্রী- সন্তানের কোন খোঁজখবর ও ভরণ পোষণ দিতেন না। বরং স্ত্রীকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করতেন। একমাস আগেও এভাবে বাসায় এসে ফজল কাদের স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে স্ত্রীর হাত-মুখ রক্তাক্ত করেছিল। গতকালও সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে এবং ঝগড়াঝাটির ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী জেসমিন আত্মহত্যা করেন বলে জানান এলাকাবাসী ও স্বজনরা।