বাঁশখালীতে আগুনে পুড়েছে ৯টি দোকান

1

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় গভীর রাতে অগ্নিকান্ডে ৯ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৯টি দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক ১টার দিকে খানখানাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দ টেক এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, মোহাম্মদ পারভেজের মুদি দোকান, ছৈয়দ আহমদের মুদি দোকান, হারুন রশিদের তরকারির দোকান, মোহাম্মদ রুবেলের মুদি দোকান, মোহাম্মদ মিনারের কীটনাশকের দোকান, মোহাম্মদ ইউনুসের মোবাইল পার্টসের দোকান, আজিজ আহমদের রাইচ মিল এবং মো.আবুল কাশেমের মালিকানাধীন দুটি দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার গভীর রাতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরপর মানুষের শোর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। স্থানীয় লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে রাইচ মিলসহ ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ সুত্রে জানা যায়, অগ্নিকান্ডের ঘটনার সুত্রপাতে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ায় দোকানের মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়াতে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় যথা সময়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। যথাসময়ে ফায়ারসার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌছলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আর কম হত। বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলের রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু বাহারছড়া মোশাররফ আলী মিয়াজী বাজার পর্যন্ত পৌছলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর পাই। সেজন্য আমরা ঘটনাস্থলে না গিয়ে ফিরে আসি।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। কেউ এই বিষয়ে জানায়নি।