বাঁশখালী প্রতিনিধি
বাঁশখালীতে অনলাইন ক্যাসিনো ও জুয়া আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন জনপদে এই অনলাইন জুয়ার আসর বসে। ভয়াবহ এই নেশায় আসক্ত হয়ে অনেকেই সর্বস্ব হারাচ্ছে। জুয়ায় টাকা পয়সা, সোনা-দানা এমনকি সম্পদ হারিয়ে আবারো টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে পরিবারের উপর। টাকা না পেয়ে অনেকসময় বাড়ির গরু-ছাগল, স্বর্ণালংকার নিয়ে যাচ্ছে আসক্ত পরিবারের ছেলেটি। যে ছেলেটি পরিবারের হাল ধরার কথা সে-ই হয়ে যাচ্ছে ভয়ানক জুলুমবাজ ও ডাকাত প্রকৃতির। পরিবারের পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ অনেকের উপর জুয়ার টাকা জোগাড় করতে হামলা ও মারধরের ঘটনাও ঘটছে। জায়গায় জায়গায় রয়েছে তাদের নির্দিষ্ট এজেন্ট। এই এজেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই অনলাইন ক্যাসিনো ও জুয়ার লাগাম টানা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই ক্যাসিনো ও জুয়ার কারণে অনেকেই খারাপ পথে পা বাড়াচ্ছে। চুরি-ডাকাতি ছিনতাইয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে যুবসমাজ।
পাইরাং এলাকার নুরুল কাদের জানান, ‘এজেন্টের লোভনীয় প্রস্তাবে পড়ে পাইরাং জালিয়াঘাটার অধিকাংশ যুবক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এই জুয়ার নেশায় পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে অনেকে পলাতক হয়ে বাড়িঘর ছাড়া হয়ে গেছে। পাওনাদারদের ভয়ে সারাদিন মজুরি কাজ করে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলে সব টাকা হারিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদে লেগে থাকে।’
চেচুরিয়া এলাকার আবদুল মতলব জানান,‘আমাদের এলাকায় অনলাইন জুয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। উঠতি বয়সি তরুণ যুবকরা এই মরণনেশায় আসক্ত হয়ে ঘরবাড়ি সংসারহারা হচ্ছে। সহায় সম্বল বিক্রি করেও অনেকে এই জুয়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে।’
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ‘অনলাইন ক্যাসিনো ও জুয়া নিষিদ্ধ। অনেক সময় বিষয়টি অনলাইন কেন্দ্রীক হওয়ায় জড়িতদের চিহিৃত করা যায় না। তবুও সংবাদ পেলে পুলিশ অনলাইন ক্যাসিনো ও জুয়া বন্ধে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।’ তিনি এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এলাকার শান্তিপ্রিয় লোকজনকেই এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।’