মহেশখালী প্রতিনিধি
কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-পথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। একই সাথে মহেশখালী ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে পন্টুন।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে সি ট্রাক চালু করা হয়, ঘাটে স্থাপন করা হয় পন্টুন। পন্টুন ও সি ট্রাক আসার খবরে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মানুষদের বেশ উচ্ছ¡সিত দেখা গেছে। এই দাবি তাদের দীর্ঘদিনের বলে জানা গেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন সি ট্রাকে করে মহেশখালী প্রান্তে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপ-সচিব আবুল হাসেম, সিআইপি আব্দুস শুক্কুর, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনসহ অনেকেই।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী থেকে নৌপথে কক্সবাজার জেলা শহরে যাতায়াতের অন্যতম রুটে ১০ কিলোমিটার সমুদ্র পথে ফেরি চলাচলের দাবি ছিল দীর্ঘকালের। পরে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার দাবিতে পন্টুন ও সি ট্রাক চালু করা হলো।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, আজ (শুক্রবার) থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-পথে পরীক্ষামূলক সি ট্রাক চালু হয়েছে। পরে অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, আমাদের দ্বীপবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-পথে সি ট্রাক চালু করার। অবশেষে সে স্বপ্ন ধরা দিয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ কেটে যাবে।
মহেশখালীর গোরকঘাটা জেটিঘাটে উচ্ছ্বসিত জনতার সাথে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের কাঙ্খিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও পরিবর্তন বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, সাবেক মেয়র সরোয়ার আজম সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদেন সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, মহেশখালীবাসী দীর্ঘদিন এই নৌ-রুটে মারাত্মক ভোগান্তি সয়ে আসছে। সম্প্রতি এই ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসন ও পেশাজীবীরা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে আজ একই দিন মহেশখালী ঘাটে পন্টুন ও যাত্রী পরিবহণে সি ট্রাক চালু করা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছেন বুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খান। মহেশখালীবাসী তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।