জাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী, সীতাকুন্ড
সীতাকুন্ড পৌরসদরস্থ শিবপুর ছোটকুমিরা খালটির খনন কাজ সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, বশরত নগরে বিগত বিশ বছর আগে নির্মিত রাবার ড্যামটির কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে পুনরায় খালটি ভরে গিয়ে পুরো ১০ কিলোমিটার এলাকায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ডুবে যায়। রাবার ড্যামটির ছোট মুখ দিয়ে খালের পানি যাওয়া সম্ভব না। বর্ষার আগেই যদি রাবার ড্যামটির পাশে একটি কালভার্ট নির্মাণ না করতে পারে এত টাকা দিয়ে খাল খনন প্রকল্পটি বিফলে যাবে। পানিতে তলিয়ে যাবে কয়েকটি গ্রাম। এতে ক্ষতি হবে হাজার হাজার একর ফসল।
সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. তাহের পরিদর্শনকালে বলেন, খালের পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি ২৮ মে বুধবার এলজিডি প্রকৌশলী আলমগীর বাদশাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে পাঠান। স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে আমিসহ সরেজমিনে পরিদর্শন করি। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে গ্রামবাসীর পক্ষে অনুরোধ করেছি, যাতে আসন্ন ভারী বর্ষার আগে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
এসময় প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক আগেই এই রাবার ড্যাম তৈরি করে। এখানে একটা কৃষকদের সমিতি ছিল। সমিতির সদস্যদের সচল করতে পারলে কোন একটা কিছু করা যেত। গ্রামে পানি প্লাবিত না হয়ে খালের পানি চলাচলের কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা আমরা দেখবো।স্থানীয় প্রবীণ কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খালটিতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রাবার ড্যাম স্থাপন করা হয়। অপরিকল্পিত এই রাবার ড্যামটি এখন গলার কাটা হয়ে গেছে শিবপুর, ইদিলপুর, কেদারখিল, সৈয়দপুর গ্রামের শত শত কৃষকদের। এসব গ্রামের কৃষকরা কোন চাষাবাদ করতে পারছেন না। অবাধে পানিপ্রবাহে বাঁধা হওয়ায় হাজার হাজার একর কৃষিজমি অনাবাদী হয়ে যাচ্ছে। ভারী বর্ষার আগে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে, এবার কৃষকের শত শত একর ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে।