বর্বর নির্যাতনের শিকার এক বিএনপিকর্মীর করুণ কাহিনী

2

রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে বিএনপির এক কর্মীকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তুলে নিয়ে পায়ে গুলি ও হাতের আঙ্গুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনী এবং এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে হুইল চেয়ারে করে এসে নোয়াপাড়ার পলোয়ান পাড়ার একটি মাদ্রাসা মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কামরুল হাসান। এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মামলা না থাকার পরও তাঁকে পঙ্গু অবস্থায় ৪ বার ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। মিথ্যা মামলা ও অস্ত্র দিয়ে আদালতে পাঠায়।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে বোয়ালখালী উপজেলার হাজিপাড়া গ্রামে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা। এরপর তার গ্রামের সূর্যসেন পল্লী এলাকায় রাত ১২ টার পর রাউজান থানার তৎকালিন এসআই টুটুন মজুমদারের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং সন্ত্রাসী বাহিনী তার দুই পায়ে গুলি করে। এরপর দুই হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়। পরে ঘটনাটিকে বন্দুকযুদ্ধ দেখিয়ে গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানো হয় তাকে। অথচ ঘটনাটিতে তাকে একা ধরে আনা হয়। তার একটি পা সম্পূর্ণ কেটে ফেলতে হয়। অপরটিতে রোজ ড্রেসিং করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পঙ্গু অবস্থায় তাকে হাটহাজারীর ভাড়া বাসা থেকে তুলে এনে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।
তাঁর দাবি, তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর কর্মী। এ কারণে তাকে বারবার হয়রানি কর হয়। সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া রাউজান থানার এসআই টুটন মজুমদারকে দিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়ে তার জীবন বিপন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পঙ্গু অবস্থাতেই আমাকে রাঙামাটির কাউখালী থানার চাঁদাবাজি মামলার আসামি করা হয়। এসব ঘটনা দেশের প্রচলিত আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী কামরুল হাসানের স্ত্রী পারভিন আকতার, মেয়ে রুনা আকতার, রেশমি আকতার, সানজিয়া হাসান প্রমুখ।
কামরুল হাসান বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন এবং তার জীবন বিপন্ন করার বিচার চান সরকারের কাছে।