নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত থাকা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার থেকে শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রম চলবে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবে। এ সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৬ আগস্ট শুরু হবে। চলমান ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলে একাদশ শ্রেণিতে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৫ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ জুলাই। তবে ১৮ জুলাই থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এবার একাদশ শ্রেণিতে মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক পূর্বদেশকে বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ৬ আগস্ট।
ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে।
তিনবার আবেদন করেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি চট্টগ্রামের ৪৫৬ শিক্ষার্থী। কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীরা এখন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে একাদশ শ্রেণির চলমান ভর্তি কার্যক্রম শেষে কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জাহেদুল হক।
তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশের পরও চট্টগ্রামের ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। চলমান ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলে তাদের বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় কলেজে আসন বেশি রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ২৮৫টি কলেজের মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার। সেই হিসাবে ভর্তিচ্ছু সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও প্রায় ৪৬ হাজার আসন ফাঁকা থাকবে।