বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইউএসটিসি ফার্মেসি বিভাগের পুনর্মিলনী

1

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চিটাগাং (ইউএসটিসি) ফার্মেসি বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম এই ফার্মেসী বিভাগ। গতকাল শনিবার এই বিভাগের ৩২ বছর পূর্তিতে আয়োজন করা হয় পুনর্মিলনীর। এক সময়ের ফার্মেসী বিভাগ এখন ফার্মেসী অনুষদে রূপ নিয়েছে। এই বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশে-বিদেশে ঔষধ শিল্প ও স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন শাখায় সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউএসটিসি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সোলায়মান প্রধান অতিথির হিসেবে সকালে পুরাতন ক্যাম্পাসে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এসময় দেশবরেণ্য ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।প্রফেসর ড. মো. সোলায়মান বলেন, একজন চিকিৎসক ভুল করলে একজন রোগী মারা যেতে পারে, কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে শত-হাজার মানুষের প্রাণ সংহারের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের ঔষধশিল্প ও স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দেশ বরেণ্য জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে ইউএসটিসি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ইউএসটিসি-এর ক্যাম্পাস জুড়ে এই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মহা মিলনমেলা বসে। অনুষ্ঠানে অন্যতম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী অনুষদের প্রফেসর ড. আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সেলিম রেজা, ইউএসটিসি-এর উপ-উপাচার্য ও ১ম ইউএসটিসি ফার্মেসী বিভাগ পুনর্মিলনী পরিষদের আহŸায়ক প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম কায়সার, ইউএসটিসি সাবেক অধ্যাপক ড. হাসান কাওসার ও মো. কামরুজ্জান ভ‚ঁইয়া, ইউএসটিসি ফার্মেসী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল মোতালেব ভ‚ঁইয়া প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তারা ইউএসটিসি’র ফার্মেসি গ্রাজুয়েটদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।
১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা ফার্মেসী অনুষদ থেকে ৩২ বছরে ২৯টি ব্যাচ সফলভাবে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। দিনের কর্মসূচিতে প্রারম্ভে ডা. নুরুল ইসলামের কবর জিয়ারত, দেশ-বিদেশ থেকে আগত গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রফেসর শিক্ষকমন্ডলী, ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবায় সম্পক্ত ব্যক্তিত্বদের মনোমুগ্ধকর স্মৃতিচারণ, অ¤ø-মধুর অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ নস্টালজিক সেইসব স্মৃতিকথা বর্ণনা করেন। ক্যাম্পাস পরিভ্রমণ, সাথে চলে গান, নাচ, কবিতা পাঠ কিংবা ব্যান্ডের ছন্দ হিল্লোলে উদ্যাম আনন্দ। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফান গেমস, স্মৃতিকথা, গান, কাউয়ালী সন্ধ্যা, নৈশভোজ ছিল আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ।
প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল মহামিলনের। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা ভবিষ্যতে পেশাগত ও সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। বিজ্ঞপ্তি