বরেণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নুরুল আলম খান আল কাদেরি (রহ.)

1

মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান

বরেণ্য আলেমেদ্বীন, শিক্ষাবিদ, হাজারো আলেমের শিক্ষাগুরু অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নূরুল আলম খান কাদেরী (রহ.) ১৯৪৭ সনের ১৪ আগস্ট এক ঐতিহাসিক দিনে সম্ভ্রান্ত খান বংশে জন্ম নেন। পিতা দরবেশ মৌলভী মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন খান (রহ)ছিলেন অত্যন্ত বুযুর্গ ব্যক্তি এবং সফল ইসলাম প্রচারক। যিনি চট্টগ্রামের বাইরেও দ্বীনি খেদমত আনজম দিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন তুখোড় মেধাবী ও অসাধারণ ধী-শক্তির অধিকারী। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পর্বে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সৈয়দাবাদ নিবাসী আল্লামা নূরুল আলম খান (রহ) ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন তিনি। আল্লামা মোস্তফা আল হামিদি (রহ) নামে একজন বর্ষীয়ান আলেম শায়খুল হাদিস হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা গাজিমোড়া আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ছিলেন হাফেজুল হাদিস অর্থাৎ শত শত হাদিস সনদসহ তাঁর মুখস্থ ছিল। শায়খুল হাদিস আল্লামা মোস্তফা আল হামিদির কাছ থেকে হাদিসের পাঠ নিতে আল্লামা নূরুল আলম খান (রহ) কুমিল্লা গাজিমোড়া আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল (হাদিস) শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে এখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ১৯৭০ সনে মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন।সমকালীন সময়ে অধ্যক্ষ আল্লামা এম এ জলিল (রহ.) ছিলেন এ মাদ্রাসার ছাত্র।মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা আব্দুল বারী জিহাদি (রহ.), আল্লামা আব্দুর রব (রহ.)’র মত জ্ঞানতাপস ব্যক্তিরা ছিলেন তার সহপাঠী ।শিক্ষাজীবন থেকেই তিনি ক্বারী সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন।পাকিস্তান আমলে আন্তর্জাতিক কিরাত প্রতিযোগিতায় তিনি দেশ-বিদেশের ক্বারীদের মধ্যে ২য় স্থান লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত ক্বারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পূরুষদের স্মৃতিধন্য স্থান বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ রজভিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ পদে তার কর্মজীবন শুরু। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হলেন পীরে তরিকত উস্তাজুল উলামা আল্লামা মুফতি ইদ্রিস রজভি (রহ)। এ মাদ্রাসায় শিক্ষকতাকালে কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত বাগোয়ান পাঁচখাইন গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মুহাম্মদ এমদাদুল হক হেজাজি (রহ.)’র কনিষ্ঠ কন্যার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আল্লামা নূরুল আলম খান (রহ.)। নেপথ্যে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেন আমার মেজ মামা পীরে তরিকত উস্তাজুল উলামা আল্লামা মুহাম্মদ নূরুল আলম হেজাজী (মজিআ)। যিনি রাঙ্গামাটি সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ।শ্বশুরালয়ের সবাই হেজাজি বংশধর।দাদাশ্বশুর দরবেশ হযরত সৈয়দ মাওলানা অছিয়র রহমান হেজাজি ছিলেন হযরত বড়পীর (রহ.)’র নামে প্রতিষ্ঠিত দরগাহের মুতাওয়াল্লি। পিতৃালয়,শ্বশুরালয়সহ বংশীয় স্রোতধারায় বয়ে যাওয়া খেদমতের ধারাবাহিকতা তিনি বজায় রেখেছিলেন আমৃত্যু। সত্তর বছরের দীর্ঘ জীবনে বহু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ হিসেবে আজীবন ইলমে দ্বীনের খেদমতে, দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে ও সুন্নিয়তের প্রচারে তিনি নিবেদিত ছিলেন। আল্লামা নূরুল আলম খানের (রহ) খ্যাতি, গভীর জ্ঞান ও ইলমের কথা অনেকেই জেনে যায়। চান্দগাঁও বারীয়া দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন পীরে তরিকত শাহসূফি মাওলানা সৈয়দ আবদুল বারী শাহজী (রহ) এর সঙ্গে ইত্যবসরে তাঁর পরিচয় ঘটে। শাহজি হুজুর (রহ) বললেন, আপনি আমার দরবারে চলে আসুন। আপনাকে দিয়ে আমি একটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি তাতে সম্মতি দিয়ে বারীয়া দরবার শরিফে চলে আসেন।চট্টগ্রাম চান্দগাঁওয়ে শাহসূফি মাওলানা সৈয়দ আবদুল বারী শাহজি হুজুর কেবলা (রহ) প্রতিষ্ঠিত আল আমিন বারীয়া মাদ্রাসাকে ইবতেদায়ী হতে ফাযিল (ডিগ্রি সমমান) পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন তিনি। বর্তমানে এ মাদ্রাসা কামিল স্তরে উন্নীত। তিনি ছিলেন এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। কর্মজীবন ও শিক্ষকতা জীবনে সিংহভাগ অর্থাৎ ১৮ বছর ধরে তিনি বারীয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমান সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত আল্লামা সৈয়দ বদরুদ্দোজা বারী, পীরে ত্বরিকত আল্লামা সৈয়দ শামসুদ্দৌহা বারী এবং পীরজাদা সৈয়দ নুরুল হুদা, শাহজী বারী (রহ.)’র জামাতা মাওলানা সৈয়দ দেলোয়ার হোসাইন নেজামী (রহ.)ছিলেন তার হাতেগড়া ছাত্র। বারীয়া মাদ্রাসা থাকাকালীন তার স্নেহধন্য ছাত্রদের অনেকেই বর্তমানে বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ,খতিব, শিক্ষাবিদ ও জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশগড়ার কাজ আনজাম দিচ্ছেন। খানকার পাশে অবস্থিত মসজিদের (বর্তমানে মসজিদে সনজরি) খতিবও ছিলেন। জুমার দিনে তাঁর মোহনীয় সুরেলা কণ্ঠের খুতবাহ ও ক্বেরাত শুনে সবাই মুগ্ধ হতেন।
তার পিতামহ হলেন ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ আবদুল গফুর (রহ:)। তাঁরা সকলের আদি নিবাস চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলার খর›দ্বীপ ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে।তার পূর্বপুরুষেরা সুদুর ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। আল্লামা নূরুল আলম খানের (রহ.) পিতা দরবেশ মৌলভি নূরুল হোসাইন খান (রহ.) একজন সফল দ্বীন প্রচারক ও সাধক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। দ্বীন প্রচারের এক পর্যায়ে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের টোরাগড় গ্রামে হিজরত করেন। তাঁর বিশেষ ইবাদত বন্দেগি ও বুজুর্গি দেখে সেখানকার অধিবাসীরা তাঁকে ‘দরবেশ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তার অসংখ্য কারামতের কথা এখনো লোকমুখে শুনা যায়।
কর্মজীবনের শুরু থেকেই প্রশাসকের ভূমিকা পালন সত্বেও ইলমেদ্বীন চর্চায় তার কোন প্রভাব ছিলনা। অধ্যক্ষ সমাজে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী গুণের অধিকারী ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নূরুল আলম খান (রহ)। অধ্যক্ষ হিসেবে শত ব্যস্ততা সত্তে¡ও তিনি নিয়মিত ৪/৫টি ক্লাস নিতেন। কোনো ক্লাসে শিক্ষক নেই দেখলে নিজেই ক্লাসে ঢুকে পড়তেন। বাংলা-ইংরেজি বিষয়েও তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল। বারীয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষক একদিন লাইব্রেরি এই শব্দটির ইংরেজি বানান ভুল লিখেছিলেন তাঁর এক দরখাস্তে। আল্লামা খান (রহ) সহাস্যে তাঁর ভুল শুধরে দিলেন। কিন্তু এই শিক্ষককে লজ্জিত হওয়ার সুযোগ তিনি দেননি। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের শিক্ষকতা জীবনে এবং বিভিন্ন মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে সরলতার সুযোগে অনেকেই তাঁর ক্ষতি করতে চাইলেও তিনি কখনো কারো ওপর প্রতিশোধ নেননি। অনেক দুঃখ-কষ্ট নীরবে হজম করে নিজ দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি সনিষ্ঠ ছিলেন। হযরত শাহজী বারী (রহ.) তার আমানতদারিতা, সততা,কর্তব্যনিষ্ঠতার কথা সবার কাছে বলতেন।
২ মার্চ ২০১৯ সনের কথা।চট্টগ্রাম চান্দগাঁওয়ে আল আমিন বারীয়া কামিল মডেল মাদ্রাসা চত্বরে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক জাফর আহমদ স্যারের সঙ্গে বড় ভাই আ ব ম খোরশিদ আলম খানের দেখা হয়। তিনি তার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মুখে শোনা একটি ঘটনা। আব্বার ইন্তেকালের দিন তাঁর নামাজে জানাজায় যোগ দিতে তিনি মোটর সাইকেলযোগে হামজারবাগ মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চান্দগাঁও হাজী শরফতুল্লাহ ফিলিং স্টেশনের সামনে গিয়ে পানির ঢলে তিনি আটকে পড়েন। ২/৩ হাত উঁচু পানিতে সড়ক সয়লাব। পানির স্রোতের কারণে তিনি মোটর সাইকেলটি সামনে নিতে পারছিলেন না। তিনি বারীয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের পক্ষে একটি শোক ব্যানার নিয়ে নামাজে জানাজায় যাচ্ছিলেন। তিনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, মোটর সাইকেলের ইঞ্জিনও পানিতে ডুবে গেছে। কিন্তু গাড়ির স্টার্ট তখনো বন্ধ হয়নি। অথচ গাড়ির ইঞ্জিন ডুবে গেলে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই মনে মনে তিনি দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন । কারণ গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে তিনি তা ঠিক করে যথাসময়ে নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পানির মধ্যে ঠেলে সচল মোটর সাইকেলযোগে জাফর স্যার সেদিন আব্বার নামাজে জানাজায় উপস্থিতির ঘটনাটি অলৌকিক ও বিস্ময়কর বলে মনে করেন। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার তৎকালীন সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ ওহাব (বর্তমানে প্রয়াত) আব্বাকে খুবই ভালোবাসতেন। বারীয়া মাদ্রাসায় থাকাকালেই দুজনের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আব্বা করিমিয়া মাদ্রাসা ছেড়ে এবং বায়েজিদস্থ শহীদনগর মসজিদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর আনজুমানের ওহাব সাহেবের পরামর্শানুযায়ী আনজুমান পরিচালিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার মহেশখালী পুটিবিলা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। সেখানে থাকেন আড়াই বছর।তিনি মহেশখালীতে নিজ মুর্শিদ আলে রাসুল আল্লামা সৈয়দ তাহের শাহ (ম জি আ)’র আগমনের উদ্যোগ নেয়াসহ বিশাল সুন্নি সম্মেলনের আযোজন করে কক্সবাজার জেলার সাথে চট্টগ্রামের বিদগ্ধ আলেমসমাজের মেলবন্ধন তৈরি করে দেন।এ মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্রকে তিনি নিজ পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের জামেয়া, তৈয়্যবিয়াসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ করে দেন।১৯৯৭ সনে আনজুমান ট্রাস্ট পরিচালিত চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর মাদ্রাসা এ তৈয়বিয়া সুন্নিয়া ফাযিল এর অধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হন। অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পন্থায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করে আব্বাজান তৈয়বিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদ গ্রহণ করেন। অনেক বাধা, চক্রান্ত ও প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করে তৈয়বিয়া মাদ্রাসায় পাঁচ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। বারে বারে নিজে জুুলুমের শিকার হলেও দীর্ঘ অধ্যক্ষ জীবনে কারো ওপর তিনি জুলুম চাপিয়ে দেননি। কাউকে চাকরিতে হয়রানি করেননি। অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে কারো চাপে কোথাও অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেননি। পূর্ণ সততা, দায়িত্বশীলতা, যোগ্যতা-দক্ষতার সঙ্গে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি। মাদ্রাসার অর্থ লেনদেনে তিনি সাবধানতা অবলম্বন করতেন। নিজে ক্যাশ রাখতেন না। মাদ্রাসার ক্যাশিয়ারের কাছেই যথানিয়মে ক্যাশ তদারকির দায়িত্ব দিয়ে তিনি ঝামেলামুক্ত থাকতে চাইতেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল হাটহাজারী আনোয়ারুল উলুম নোমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় এ মাদ্রাসা থেকেই তিনি অবসর নিয়েছেন। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পীরে তরিকত অধ্যক্ষ আল্লামা শাহসূফি আজিজুল হক আলকাদেরী (রহ)। অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নুরুল আলম খান (রহ.)’র ছেলেদের মধ্যে আ ব ম খোরশিদ আলম খান দৈনিক আজাদীর সাংবাদিকতা পেশা,সাইফুল আলম খান ব্যবসায়ী,মাওলানা আহমদুল্লাহ ফোরকান খান কাদেরি রাউজান দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক এবং পূর্ব নাসিরাবাদ শাহী জামে মসজিদের খতিব, মাওলানা নুরুল্লাহ রায়হান খান কাদেরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক,খুলশি চেমনবাগ আবাসিক জামে মসজিদের খেতাবত এবং ফতেপুর মনজুরুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ আল মিযান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছোটমেয়ে হুমাইরা জামেয়া ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
লেখনির মাধ্যমেও তিনি অসাধারণ খেদমত আনজাম দেন। জাআল হক্বের বাংলা অনুবাদসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা পঞ্চাশোর্ধ। ২০১৭ সনের ১৭ রমজান (১৩ জুন)অধ্যক্ষ আল্লামা ক্বারী নূরুল আলম খান আল কাদেরি (রহ.) ইহজীবন থেকে বিদায় নিলেও কর্মগুণেই তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। যাঁর প্রায় ৫০ বছরের শিক্ষকতা জীবন কেটেছে বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে এবং ইলমে দ্বীনের খেদমতে। আমৃত্যু খেদমতগাহ হযরত সৈয়দ হামজা খা (রহ.) শাহী মসজিদের পাশে তিনি আরাম করছেন,মাজারের পাশে তার কবর শরীফ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এ অসাধারণ খেদমত কবুল করুন। বদর দিবসে ইন্তেকালের ওসিলায় জান্নাতে উচ্চস্থান দান করুন।আমিন

লেখক : আরবি প্রভাষক, ফতেপুর মনজুরুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসা