টানা ৮ ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু পরের চার ম্যাচেই হেরে এই দলটিই কিনা নেমে গেলো টেবিলের তিন নম্বরে। গতকাল শনিবার ফরচুন বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে চিটাগং কিংস পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে গেছে। তাতে করে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হচ্ছে টেবিলের এক নম্বরে থাকা বরিশাল ও দুইয়ে থাকা চিটাগং। অন্যদিকে চিটাগংয়ের সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে তিন নম্বরে থেকে এলিমেনেটর রাউন্ড খেলতে হচ্ছে রংপুরকে। তাদের প্রতিপক্ষ আজই চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা খুলনা টাইগার্স। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং ২০৬ রান করে। ২০৭ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বরিশাল। এরপর ডেভিড মালান ও মুশফিকুর রহিম মিলে ৩১ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। ২২ বলে ২৪ রান করে মুশফিক আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মালান মিলে এবার গড়েন ২৬ বলে দ্রুততম ৫৬ রানের জুটি। এই পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল বরিশাল। কিন্তু মালান ৩৪ বলে ৬৭ রান করে আউট হতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু সতীর্থদের কেউই তাকে সহায়তা করতে পারেনি। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বরিশাল করে ১৮২ রান।
চিটাগংয়ের বোলারদের মধ্যে বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস আল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানি নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে বড় সংগ্রহ করে চিটাগং। তার ৪১ বলে ৭৫ রানের ওপর দাঁড়িয়ে দলটি দুইশ ছাড়ায়। একটি মাত্র চার মারলেও ইমন ছক্কা মেরেছেন আটটি। এছাড়া ১২ বলে শামীম হোসেন খেলেন ৩০ রানের টর্নোডো ইনিংস। হায়দার আলীও ২৩ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। সবমিলিয়েই চিটাগং ৪ উইকেট হারিয়ে শক্তিশালী স্কোর করে। ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে তাইজুল সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী ও এবাদত হোসনে। আগামীকাল সোমবার দেড়টায় এলিমিনেটরে খুলনা ও রংপুর মুখোমুখি হবে। প্রথম কোয়ালিফায়ার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, চিটাগং ও বরিশালের।