দেশের আট জেলা বন্যাকবলিত। ডুবছে ঘর, ভাসছে মানুষ। উৎকণ্ঠায় গোটা দেশের মানুষ। ব্যতিক্রম নন তারকা শিল্পীরাও। জানাচ্ছেন প্রতিক্রিয়া, উদ্যোগ নিচ্ছেন সহযোগিতার। বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে বন্যার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা বুবলী। এসব ছবিতে দেখা যায়, প্রবল গতিতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে, কেউ জীবন রক্ষায় গামলায় ভাসিয়েছেন শিশু। আবার কাউকে দেখা যায় গৃহপালিত প্রাণীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। সব মিলে দুর্বিষহ চিত্র ফুটে উঠেছে। বুবলী লিখেছেন, ‘নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। লাখো মানুষ এবং অবলা প্রাণীরা বিপদগ্রস্ত। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানাচ্ছি। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।’ এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সূত্রহীন পানিতে নিমজ্জিত একটি শিশুর ছবি। অনেকের দাবি ছবিটি বাস্তবের নয়, বানানো। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে চারদিকে অথৈ জলরাশি, তার মাঝে আটকে আছে একটি শিশু। বড় বড় দুটি চোখে অবাক বিস্ময়! মধ্যরাতে ছড়িয়ে পড়া নিষ্পাপ শিশুটির ছবি ঘুম কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের কষ্টের অনুভূতি শেয়ার করেছেন তারকারা।
ছবিটি প্রকাশ করে ফেসবুকে পরীমণি লিখেছেন, ‘আল্লাহ! কী করবো আমি! বুকের ভেতর দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। এই চোখের দিকে তাকিয়ে কি করে ঘুমাবো!’ বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে নায়িকা লিখেছেন, ‘আল্লাহ তুমি সহায় হও। কেউ নাই আর এখন। আমি যাবো। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যা করার করবো ইনশাআল্লাহ।’ অস্ট্রেলিয়ায় বসে স্থির নেই শাবনূর। একই ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহ, দেশের মানুষগুলোকে রক্ষা করো!’ পূজা চেরী সরাসরি স্রষ্টার উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই অবুঝ চাহনি। হে ঈশ্বর তুমি কি দেখছো না?’
চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ভেতরও হু হু করে উঠেছে নিষ্পাপ শিশুটির মুখ দেখে। তিনি লিখেছেন, ‘কোনোভাবেই সহ্য করার মতো না। এটা দেখার পর মানুষ কীভাবে থাকে। বুকের ভেতরটা কাঁদছে যতবার দেখছি। আল্লাহ আপনি এই মাসুম বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে সকল বন্যাবাসী মানুষদের হেফাজত করেন।’ অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ কিছু লিখতে পারেননি অসহায় বিপদগ্রস্ত শিশুমুখটির দিকে তাকিয়ে। শুধুই লিখেছেন, ‘আহারে আহারে।’ ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ২২ আগস্ট সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অফিস আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।