নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ২৫ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া ট্রেন চলাচল আট দিনের মাথায় আবারও বন্ধ হলো। এবার কুমিল্লা, ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ডুবে গেছে রেললাইন। এতে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে সকল ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পাহাড়ধসের শঙ্কায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পানির স্তর না কমা পর্যন্ত আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা হয়েছে সিলেটের একটি রেল সেতুতেও। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনেও পাহাড়ধস হয়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চালানো খুবই বিপজ্জনক। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলের সম্পদ রক্ষায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে গতকাল সকালে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া রেল সেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত। বন্যার কারণে এসব রুটের সবধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ।
চট্টগ্রামে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনিসুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানির নিচে। কয়েকটি রেল সেতুও পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজার রুটে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। এ রুটে গত বুধবার একটি ট্রেন আট ঘণ্টা আটকে ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।