দেশে ঘটে যাওয়া যে কোনো ঘটনায় অন্তত ফেসবুকে সরব থাকেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রহস্যময় নিরবতা ভর করেছিল তার ওপর। এবার ভয়াবহ বন্যায় দেশ ভেসে গেলেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করছেন। বরং গত ২০ আগস্ট ফেসবুকে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় তার সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তির খবর। সেখানে ভক্তরা দেশের বন্যাকবলিতদের জন্য তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে সক্রিয় বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। কেউ কেউ বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দুর্গত মানুষের কাছে। এ রকম সময়ে ঢালিউডের প্রধানতম তারকা শাকিব খােনর নিরবতায় বিস্মিত হয়েছেন অঙ্গনের অনেকে। শাকিব কি কোনো জটিলতায় পড়েছেন? জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তার এই নিরবতায় কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের অনেকে।
একজন লিখেছেন, ‘দেশের চরম দুঃসময়ে ঘুমিয়ে আছেন শাকিব খান। এভাবে সবসময় দেশের বিপদে ঘুমিয়ে থাকুন।’ শাকিবের সর্বশেষ পোস্ট মালয়েশিয়ায় ‘তুফান’ ছবির প্রচারণা। সেখানে ইমদাদ মিলন লিখেছেন, ‘প্রিয় খান সাহেব, বন্যা বা বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি, ভক্ত হিসেবে এইটুকু অনুরোধ।’ এম এ মাসুদ লিখেছেন, ‘তুফান পরে নিয়ে আসেন, আগে বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনার কাছে জাতি এটা আশা করে। চুপচাপ থাকলে আপনাকে এ জাতি ছাড়বে না। সময়ের ব্যবধানে তা দেখতে পাবেন।’ মির্জা এম ইসলাম মউদুদ লিখেছেন, ‘ভাই, বন্যার্ত মানুষের জন্য আপনার পক্ষ থেকে ত্রাণ-সাহায্য দিন।’ এমডি আনিস বিডি নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘খান সাহেব, আপনি কোথায় আছেন। পারলে বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনাকে এই কয়েক দিন ধরে দেখা যায় না কেন?’ প্রসঙ্গত ২০২২ সালেও বন্যায় ডুবেছিল সিলেট-সুনামগঞ্জ। সেবার নিউইয়র্ক থেকে অফিসিয়াল ফেসবুকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন শাকিব। বাস্তবে সেই ত্রাণ পৌঁছেছিল কি না তা জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, শাকিব খানের কোম্পানির পক্ষ থেকে এবারের বন্যায় সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে। এ কারণে ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ নিয়ে সরব নন এই তারকা।