পূর্বদেশ ডেস্ক
দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় গতকাল শুক্রবার আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলমান বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। গত বৃহস্পতিবার মৃতের এই সংখ্যা ছিল ৫২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের মধ্যে ফেনীতে সর্বোচ্চ, ১৯ জন। খবর বাংলানিউজের
গতকাল শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন বলা হয়, বন্যায় মৃত মানুষের সংখ্যা এখন ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ৬ জন ও শিশু ৭ জন। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪ জন, ফেনীতে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষীপুরে ১, কক্সবাজার ৩ ও মৌলভীবাজারে ১ জন। এরা পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। মৌলভীবাজারে এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সিলেট, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলা থেকে প্রাপ্ত আজকের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। ৬৪টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৪৮৬টি। ১১ জেলায় মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।
এতে আরও বলা হয়, ৩ হাজার ২৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ জন লোক এবং ৩৮ হাজার ১৯২টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৫৬৭টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্রবাহিনী বন্যাদুর্গত এলাকায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৫ প্যাকেট ত্রাণ, ১৯ হাজার ২৬০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৪২ হাজার ৭৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৮ হাজার ৩৮৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৫৩ জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ বরাদ্দ রয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এছাড়া সশস্ত্রবাহিনীর পরিচালিত মোট ২৪টি ক্যাম্প এবং ১৮টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রæত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। সার্বিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছেন বলেও জানানো হয়েছে।