সারা বিশ্বেই ভূ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে। বড় দেশগুলো তো বটেই উদীয়মান দেশগুলোও এ খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে এই প্রযুক্তির বাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। এটি আগামী ২০৩৩ সালের মধ্যে ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে মহাকাশ প্রযুক্তিবিষয়ক পরামর্শক সংস্থা নোভাস্পেস।
স¤প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নোভাস্পেস বলছে, বর্তমানে ভূ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির বাজার ৫০০ কোটি ডলারের। এ বাজার দ্রæতই ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ জন্য অবশ্য নোভাস্পেস সম্ভাব্য সময় হিসেবে ২০৩৩ সালের কথা বলেছে। তবে একই ধরনের অন্য সংস্থাগুলো বলছে, এ বাজারের আকার দেড় হাজার কোটি ডলারও ছুঁতে পারে এই সময় ব্যবধানে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূ পর্যবেক্ষণ (ইও) প্রযুক্তি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশেষত সীমান্ত নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ধরনের কাজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে রয়েছে প্রতিরক্ষা দপ্তরগুলো।
বাতাসের মান, বায়ুমÐলের রাসায়নিক গঠন তো বটেই, ভূ প্রকৃতির বদল, ভূ পৃষ্ঠের ছবি তোলা, এর থ্রিডি মডেলিংসহ প্রায় সবকিছুই এই ভূ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তির আওতায়। এর বড় ধরনের প্রয়োগ রয়েছে কৃষি খাতে। বর্তমানে নিরাপত্তা সম্পর্কিত নানা বিষয়াদিও এর সাথে যুক্ত হয়েছে। বলা যায়, অগ্রসর এই প্রযুক্তি ক্ষমতাধর দেশগুলোর চোখ ও কানকে অনেকটাই প্রসারিত করবে।
এই প্রযুক্তি আরও উন্নত হচ্ছে। বিশেষত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এর চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। আর গবেষণা ক্ষেত্রেও উচ্চমানের ছবি ও থ্রিডি মডেলিং যুক্ত হওয়ায় পৃথিবী পর্যবেক্ষণে নতুন মাত্রা যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সাথে তো মহাকাশ প্রযুক্তির বাণির্জিকীকরণের মতো সম্ভাবনা রয়েছেই।
নোভাস্পেস বলছে, ২০২৩ সালে ভূ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি বাজারের ৪৪ শতাংশ আমেরিকার দখলে। এর পরের অবস্থানেই আছে ইউরোপ, বাজারে যার অংশ ২২ শতাংশ। তবে সামনে এই খাতের প্রবৃদ্ধির একটি বড় অংশই এশিয়ায় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সামনের কাতারে রয়েছে চীন, এর পর ভারত। ২০৩৩ সাল নাগাদ এই বাজারের ২৩ শতাংশ এশিয়া দখল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল।