পূর্বদেশ ডেস্ক
বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও সিকদার মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার গত ১৩ মে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন।
আবেদনে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। স¤প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে নিহত ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
এত আরও বলা হয়, গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। পরে তিনি বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক এবং আইনি দায়িত্ব। একই সাথে বজ্রপাতে নিহত এবং আহতদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়াও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।