বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভ‚ত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার সকালে জারি করা বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে বলা হয়েছে। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে কোনো সতর্কসংকেত দেখাতে হবে না।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, লঘুচাপটির গতিপথ ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। ফলে বাংলাদেশের স্থলভাগে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে চলতি মাসের ২৯ তারিখের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে, যা মাসের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার সকালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামি ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ফেনীতে, ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, মাত্র চার দিন আগে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যা দ্রুতই দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশের উপক‚লে পড়েনি। তবে এবারকার লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিলে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে কার্যত বৃষ্টি নেই। এতে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কক্সবাজার অঞ্চলে দিনভর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হলে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় জেলেদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এর গতি-প্রকৃতি স্পষ্ট হবে। তবে এখনই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বুধবারের পর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এতে গরম কিছুটা প্রশমিত হবে।
অক্টোবর মাসের শেষ ভাগে বঙ্গোপসাগরে বারবার লঘুচাপের সৃষ্টি, এটি মৌসুমি পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।