ফ্যাসিবাদ উৎখাত না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না : এম এ হাশেম রাজু

1

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন ও গুণীজন সংবর্ধনা ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় নগরীর একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক, ডেনমার্ক বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য গাজী মনির আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভ‚ইয়া।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখার সমন্বয়ক এডভোকেট শাহাজালাল ভ‚ঁঞা সবুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এম.এ. হাশেম রাজু। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানাবাধিকার, আইনের সুশাসন, বাকস্বাধীনতা খুনী হাসিনার ভেনেটি ব্যাগে তালা দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বৈরাচারি কায়দায় দেশ পরিচালনা করবেন। সেই দুঃস্বপ্ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন বাংলাদেশ। ফ্যাসিবাদ উৎখাত না হলে গণতন্ত্র কখনো মুক্তি পাবে না।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও লেখক ডা. মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতারা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতের মাটিতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ছিলেন। ৭৪’ এর দুর্ভিক্ষ, গণতন্ত্র, আইনের সুশাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশ পরিচালনায় শেখ মুজিব ও হাসিনা উভয়েই চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভ‚ইয়া বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে এদেশে আইনের শাসন বজায় রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগ। অকার্যকর বিচার ব্যবস্থার কারণে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এসব বিচার বর্হিভ‚ত হত্যাকাÐ, গুম-খুন, নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারে পরিণত হয়। আমাদের দেশে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে। এদেশে বেশিরভাগ বাচ্চাকে সিজারের মাধ্যমে দুনিয়াতে আসতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে একটি শিশু যে স্বাভাবিক উপায়ে জন্ম নিবে, সেই সুযোগও নেই। প্রায় প্রতিটি শিশুকে জন্মের প্রথমেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে দুনিয়াতে আসতে হয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অভিষেক দাশ, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.সাইদুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহবায়ক এয়াকুব নবী, ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আয়াত উল্যাহ, বখতারমুন্সি শেখ শহিদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির পরিচালক ডা. সুশান্ত বডুয়া, কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিসের শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভ‚ঁইয়া, জেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, জেলা খেলাফত আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা নূরুল করিম ও সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভ‚ঁঞা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সমন্বয়কারী নার্গিস সুলতানা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আইএইচআরসি নবনির্বাচিত ছাত্র যুব বিষয়ক সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন, আইএইচআরসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মেহেজারীন সুলতানা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের পরিচালক রুহুল আমিন বাদল, কাজী সাব্বির, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মেহজাবেন মেহরাজ, মিডিয়া পরিচালক বিপ্লব পার্থ, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল আলম ভিপি জাহিদ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস.এম. কায়সার এলিন। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীজনদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। বিজ্ঞপ্তি