ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চিতা বিড়াল বিক্রির দরদাম

7

দুটি চিতা বিড়ালের ছানা বিক্রি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন, দরদাম করে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে রাজিও হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে সেই চিতা বিড়ালের ছানা দুটিসহ তাকে হাতেনাতে আটক করেছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার থেকে চিতা বিড়ালের ছানাসহ মো. সাকিব বিন ইসলামকে (২১) আটক করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা এলাকায়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব বলেছেন, রাউজান উপজেলার কোনো এক এলাকায় ঝোপের মধ্যে তিনি চিতা বিড়ালের ছানা দুটি দেখতে পেয়ে নিয়ে আসেন। পরে অনলাইনে সেগুলো বিক্রি করতে বিজ্ঞাপন দেন। আমরা জানতে পারে ক্রেতা সেজে তার সাথে যোগাযোগ করি। ক্রেতা হিসেবে আমাদের দু’জন আলাদাভাবে তার সাথে যোগাযোগ করে চিতা বিড়াল দুটি কিনতে চায়। তার মধ্যে একজনের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে বিক্রিতে রাজি হন সাকিব। পরে তাকে কৌশলে কালামিয়া বাজার এলাকায় আনা হলে চিতা বিড়ালের ছানা দুটিসহ আটক করা হয় তাকে। খবর বিডিনিউজ’র
দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, এ ঘটনায় বনপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করে সাকিব বিন ইসলামকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চিতা বিড়াল দুটি আপাতত আমাদের কাছে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিতা বিড়াল সাধারণত ঝোপঝাঁড়, পুকুরপাড় ও বাঁশঝাড়ে থাকে। এর ইংরেজি নাম লেপার্ড ক্যাট। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুসারে, চিতা বিড়াল সংরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী।
বন বিভাগের কর্মকর্তা দীপান্বিতা বলেন, চিতা বিড়াল এক প্রজাতির বিড়াল। এরা গ্রামে ও পাহাড়ি এলাকায় ঝোপঝাড়ে থাকে। সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ কৌতুহলবশত বা না জেনে এদের পিটিয়ে মারে আবার কেউ বা ধরে আনে। এটি মানুষের জন্য ক্ষতিকারক কোনো প্রাণী নয়। এভাবে পিটিয়ে মারায় বা ধরে আনায় দিনে দিনে প্রজাতিটি আরো বিপন্ন হয়ে পড়ছে। মানুষের সচেতনতাই পারে চিতা বিড়াল ও মেছো বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির এসব বিড়ালকে রক্ষা করতে।