রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
ফেনীতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন আবু বক্কর ছিদ্দিক (২৮) নামে রাঙ্গুনিয়ার এক যুবক। শনিবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় ফেনী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার দুপুরে তার লাশ স্বজনরা নিজ বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায় নিয়ে আসেন। মাগরিবের নামাজের পর মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দ বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে তার জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ধর্মগ্রহণ করার আগে আবু বক্করের নাম ছিল প্রণব কুমার দে। তিনি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস উত্তর পদুয়া এলাকার তপন কান্তি দে’র ছেলে। তবে ইসলাম ধর্মগ্রহণের পর তিনি মরিয়মনগর ইউনিয়নের ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা যায়। সেখান থেকেই কাজের সন্ধানে ফেনী গিয়ে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
ফেনীর স্থানীয় সাংবাদিক মো. দোলাল তালুকদার জানান, নিহত আবু বক্কর একজন ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিক হিসেবে নদী ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছিলেন। তার সহকর্মীদের ভাষ্যমতে তিনি গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার তার মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একপর্যায়ে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশের দাফন নাকি সৎকার করা হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম নেয়। এই নিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা লাশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে খবর পেয়ে তার শ্বশুর গিয়ে লাশ নিয়ে আসেন বলে জানান দোলাল তালুকদার।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সোহেল রানা জানান, করোনাকালীন সময়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়ে করেন স্থানীয় এক তরুণীকে। সন্তান প্রসবকালে তার স্ত্রী মারা যান। তার একমাত্র সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। ইসলাম ধর্মগ্রহণের কারণে তার পরিবাররের সাথেও যোগাযোগ ছিলনা। একসময় তার দর্জির দোকান বিক্রি করে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন স্থানে যান। এরমধ্যে হঠাৎ তার এমন মৃত্যুর সংবাদে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সন্তান নানার বাড়িতে রয়েছে।