স্পোর্টস ডেস্ক
আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। তা সামনে রেখে সরগরম দেশের ফুটবলপাড়া।
বর্তমান বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন পরের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধাস্ত জানিয়েছেন আগেই। এরপর আসরে নামেন তরফদার রুহুল আমিন। এবার বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন তাবিথ আউয়ালও।
গতকাল দেশের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি। তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘এতোদিন জল্পনা-কল্পনা ছিল আমি বাফুফে নির্বাচন করব কি না। হ্যাঁ, আমি বাফুফে নির্বাচন করব। আগামী বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমি আশাবাদী আমি জিতব।’
এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ে বাফুফের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান এই সংগঠক।
মাঠের খেলা ফুটবল। সেই মাঠেই চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল। বাফুফের সর্বোচ্চ পদ সভাপতি। মূলত সভাপতির পরিকল্পনার ওপরই চলে ফুটবল। ‘সভাপতি হলে খেলার মাঠে চমক থাকবে। ফুটবল সামনের দিকে নিতে পারব আশা করি।’ কাউন্সিলর তালিকা চূড়াস্ত ও নির্বাচনে অন্যদের আগ্রহ জানার পর প্যানেল করবেন। কারা নির্বাচনে আগ্রহী সেটা জানতে হবে। এরপর সবার সঙ্গে মিলে একটা প্যানেল করা, তারপর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ইশতেহার। সপ্তাহ খানেক আগে বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন। গতকাল তাবিথের সভাপতি প্রার্থীতা ঘোষণার সময় বিএনপির কেউ ছিলেন না। অথচ তাবিথ বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন এবং তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক। তরফদারের অনুষ্ঠানে আমিনুলের উপস্থিতি ও সমর্থন সম্পর্কে তাবিথের মস্তব্য, ‘সে (আমিনুল) একজন সাবেক তারকা খেলোয়াড়। সাফজয়ী দলের সদস্য। তাকে শুধু দলের গÐিতে রাখা ঠিক হবে না। কেউ চাইলে কাউকে সমর্থন দিতেই পারে।’ সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল ফুটবলকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে চান। তাবিথ আউয়াল ধনী পরিবারের সস্তান হলেও ফুটবলকে ভালোবেসে আরামবাগ, ফেনী সকারে খেলেছেন। ফেনী সকারের পরবর্তীতে নোফেল স্পোর্টিং দল গড়েন। তৃণমূলে আরো কয়েকটি ক্লাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফুটবল সংগঠক, ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতেও সক্রিয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন।