বাঁশখালী প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধ এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত জেলে মাঝি মোহাম্মদ মোকাররম (৪৫) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মৃত জাফর আহমদ সিকদারের ছেলে। ডাকাতদল মোকাররম মাঝিকে গুলি করে হত্যার পর সাগরে লাশ ফেলে দিয়ে ১৯ মাঝিমাল্লাকে জিম্মি করে ফিশিং ট্রলারটি লুট করে নিয়ে গেছে। ট্রলারে থাকা ১৯ মাঝিমাল্লাকেই অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের ইসমাইল কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এফবি আল্লাহর দান’ নামক ফিশিং ট্রলারে এই ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মোকাররম মাঝিসহ ২০ মাঝিমাল্লা নিয়ে ‘এফবি আল্লাহর দান’ নামক ফিশিং ট্রলারটি গত সোমবার সাগরে মাছ ধরতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গভীর সাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে তারা জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এসময় চলন্ত ট্রলারটিতে গুলি করে মাঝি মোহাম্মদ মোকাররমকে হত্যার পর সাগরে লাশ ফেলে দেয়। গুলিতে তার বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। সকালে আত্মীয়-স্বজনরা নিহত মোকাররমের লাশ উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাগরের বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী চ্যানেলে ইদানিং ডাকাতি ও জলদস্যুতা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মাঝিমাল্লারা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত ও ডাকাতির ঘটনা বাঁশখালী সীমান্তের বাইরে। যেহেতু লাশটি বাঁশখালী হাসপাতালে এনেছেন, তাই সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রলার মালিক ও মাঝিমাল্লাদের বাড়ি বাঁশখালী এবং কুতুবদিয়া থানায় হলেও ঘটনাস্থল বাঁশখালীর বাইরে হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হবে।