স্বাস্থ্যকথা ডেস্ক
এক কালে বাড়িতে পানি পরিশোধনের তেমন কোনো উপায় ছিল না। এ কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন- জন্ডিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড দূরে রাখতে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার চল ছিল। তবে আজকাল বাজারে নানা রকম ফিল্টার পাওয়া যায়। এ কারণে অনেকে পানি পরিশোধনের জন্য ফিল্টারেরর উপর নির্ভর করেন। অনেক সময়েই রোগীদের ফোটানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ফিল্টার থাকলেও পানি ফুটিয়ে খেতে বলা হয় অনেক সময়ে। কিন্তু এমন কেন বলা হয়ে থাকে? তা হলে কি ফিল্টারের পানি যথেষ্ট পরিষ্কার নয়? এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পানি যখন ফোটানো হয়, তখন ১০০ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রায় পৌঁছায়। ওই তাপে পানির সব রকম জীবাণু মরে যায়। সে কারণেই পানি ফুটিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত ২০ মিনিট ফোটাতে হবে পানি। না হলে কোনওভাবেই পানির সব জীবণু মারা সম্ভব নয়। তবে ফোটানো পানির চেয়েও ফিল্টারের পানি বেশি স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করা হয়। কারণ, পানিতে শুধু সাধারণ জীবাণু নয়, সঙ্গে অন্যান্য রাসায়নিকও থাকে। সে সব পদার্থও সরিয়ে দেওয়া হয় ফিল্টারে। আর পানিতে থেকে যায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস।