ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবি

1

ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, গণহত্যায় জড়িত ইসরায়েলীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার, ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশে ইজরায়েলী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’ শীর্ষক এই মহাসমাবেশে চট্টগ্রামের লক্ষাধিক প্রতিবাদীসহ সারাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নেন।
সকাল ৯ টায় মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৭টা থেকে প্রেস ক্লাবের আশপাশ ছাড়িয়ে দৈনিক বাংলার মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট, নাইটিঙ্গেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, মৎস ভবন, রমনা সোহরাওয়ার্দী গেইট পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতায় পূর্ণ হয়ে যায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মজলুম ফিলিস্তিনবাসী ও ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে এতো মানুষের সমাগম ঘটে।
শাহ আহসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান আহলে সুন্নাত চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফি, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দোলাহ, মুফতি অছিয়র রহমান, আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, ড. এনায়াতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, প্রফেসর জালাল আজাহারী, আব্দুর রহমান, মাওলানা হাসান আজহারী, রহিম আজাহারী, অধ্যক্ষ আখতার হোসেন চৌধুরী, এনসিপি নেতা হাসান আলীসহ গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ, আনজুমান রহমানিয়া, ছারছিনা, ফুলতলি, সোনাকান্দা, এনায়েতপুর, মাইজভান্ডার, ফান্দাউক, নেত্রকোনা রেজভিয়া, দরবারে আজিজিয়া ছিপাতলি, আহলা দরবার, বারীয়া, জাহাগিরিয়া, শাহপুর দরবারসহ ৩০০ এর অধিক দরবারের সাজ্জাদানশীন পীর, দরবারের প্রতিনিধি-ভক্ত অনুরক্ত এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লাখো কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনবাসীর পাশে রয়েছে বাংলাদেশ। আজকের সমাবেশ মজলুমের পক্ষে, দখলদার ইসরাইল ও আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিন মুসলিম গণহত্যা ও ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের আহবান জানাচ্ছি। সমাবেশে সবার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়- ‘ফ্রি ফ্রি প্যালাস্টাইন’ ও ‘নারায়ে রিসালত’র স্লোগান। পরে ঘোষণাপত্র পাঠ, মিলাদ কিয়াম ও বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের কল্যাণে বিশেষ দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি