ফিকহ শাস্ত্র হচ্ছে ইসলামী আইন কানুন এবং সম্পর্কিত বিজ্ঞান

1

আঞ্জুমানে খুদ্দামুন নাস বাংলাদেশ (একেএনবি) এর উদ্যোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর সালমা ভবন ২য় তলায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টায় এলজিইডি ভবন কামরুল হাসান সিদ্দিকী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য পবিত্র দরসুল ফিকহ মাহফিল উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রস্তুতি কমিটির সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা জানে আলম নেজামী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একেএনবি বোর্ড অব ট্রাস্টির সচিব স ম হামেদ হোসাইন ও প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু ছালেহ, ডা. হাসমত আলী তাহেরী, লায়ন মুহাম্মদ এমরান, হাফেজ মুহাম্মদ ইসহাক, এইচ এম আলী আজগর খাঁন, কাজী মুহাম্মদ আহসানুল আলম, মাওলানা নুরুল আলম, এম আহমদ রেজা, এম ইউসুফ কবির ও মোহাম্মদ মুনির উদ্দিন প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইসলামী শরিয়ায় কুরআন ও হাদিসের পরেই ফিকহের স্থান। সত্যিকার অর্থে ফিকহ কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাহ থেকে পৃথক কিছু নয় বরং এ দুয়ের গভীরে থাকা বিষয়গুলো সুস্পষ্ট সামনে আসার নামই হচ্ছে ফিকহ। ফিকহ হচ্ছে ঐশী হেদায়েত এবং শরিয়াতে নববী হতে আবিষ্কৃত একটি বিষয়। যা মানুষের আত্মপরিচয়সহ যাবতীয় কল্যাণকর এবং ক্ষতিকর বিষয়াদি সম্পর্কিত জ্ঞান। সর্বোপরি কুরআন সুন্নাহ হতে বিবেক বুদ্ধি দ্বারা উদঘাটিত জ্ঞানকে শরীয়তের পরিভাষায় ফিকহ বলে। তিনি আরও বলেন, ফিকহ এমন একটি শাস্ত্র, যা থেকে শরীয়াহ’র বিস্তারিত প্রামাণাদি থেকে ব্যবহারিক শরীয়াহ’র বিধি-বিধান সম্পন্ধে জ্ঞাত হওয়া যায়। এমনকি যাতে বিস্তারিত দলিল প্রমান দ্বারা নির্গত শরীয়তের কর্মবিধায়ক বিধানাবলী আলোচনা করা হয়। ফিকহ শাস্ত্র হচ্ছে ইসলামী আইন কানুন এবং এ সম্পর্কিত বিজ্ঞান। যার জনক হচ্ছে হযরত ইমামে আজম আবু হানিফা (রাদ্বি)। ইহ ও পরকাল উভয় জগতে সাফল্য অর্জনই হচ্ছে এটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ফিকহ শাস্ত্র সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকাই বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ফিতনা বর্ধিষ্ণু বলে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি