ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল এর শিক্ষা গাউছুল আজম (রা.)’ তরিক্বতে

1

চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে পবিত্র শবে বরাত মাহ্ফিলে মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, ‘হাদিস শরীফ মতে বান্দা ফরজ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে, আর নফলের মাধ্যমে এর স্থায়িত্ব লাভ করে। নবীজির মুহাব্বত নিয়ে প্রতিদিন ১১১১ বার নিয়ত সহকারে দরূদে মোস্তফা (দ.) আদায়, তাহাজ্জুদ, জিকির-আজগার ও মোরাকাবার অনুশীলনের পাশাপাশি ফয়েজে কুরআন তথা কুরআনের নূর প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির ব্যবস্থা রয়েছে এ তরিক্বতে’।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ তা’আলা জি¦ন ও মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার জন্য। আর যে কোনো ইবাদত-বান্দেগিকে কবুলিয়তের পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন রূহানী শক্তি। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর তরিক্বতে রয়েছে প্রিয় রাসূলুল্লাহ (দ.) এর বাতেনি নূরের সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ এর মতো এমন এক আধ্যাত্মিক নিয়ামত যার মাধ্যমে ক্বলবে রূহানী শক্তি সৃষ্টি হয়। ফলে ইবাদাত-বান্দেগিতে আসে বিনয়-একাগ্রতা-ন¤্রতা। অন্তরে সৃষ্টি হয় আল্লাহ তা’আলার ভয় ও নবীজির অকৃত্রিম মুহাব্বত। সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ’র মাধ্যমে মানুষের অন্ধকার ক্বলব আলোকিত হয়, উদাসীনতায় নিমজ্জিত ক্বলবে আল্লাহর স্থায়ী জিকির সৃষ্টি হয়। ফলে কোন অবস্থাতেই বান্দা আল্লাহর স্মরণ থেকে আর গাফেল থাকে না’।
তিনি বলেন, ‘শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয় যা এই অঞ্চলে শবে বরাত হিসেবে প্রসিদ্ধ। হাদিস শরীফ মতে এ রাতে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা প্রার্থনাকারী অসংখ্য গুনাহগার বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন, অনুগ্রহ প্রার্থনাকারী বান্দাদের অনুগ্রহ দান করবেন। তাই সকলের উচিৎ এ রাতে একাগ্রচিত্তে বেশি বেশি নফল ইবাদত-বান্দেগি করা, কুরআন তেলাওয়াত করা’।
গত শুক্রবার বাদে জুমা থেকে চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত ৭২তম পবিত্র শবে বরাত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শবে বরাত মাহ্ফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর ও মাওলানা মুহাম্মদ সায়েম।
মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। বিজ্ঞপ্তি