২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ তে মারাত্মভাবে বেড়েছে প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার। তবে অতীতের অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে বিশ্বব্যাপী ২০১৮ ছিল প্লেন দুর্ঘটনার নবম নিরাপদ বছর। অ্যাভিয়েশন নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (এএসএন) একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৮ সালে প্লেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫৫৬ জন মানুষ। আর ২০১৭ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। এ তুলনায় ২০১৮ তে প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৩ গুণ।
২০১৮ সালের ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা ছিল ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের। বছরটির ২৯ অক্টোবর জাভা সমুদ্রে এ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ যায় ১৮৯ জনের। এরপর জুলাইয়ে কিউবায় প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ফেব্রæয়ারিতে ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালায় প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৬৬ জন যাত্রী। সেইসঙ্গে ২০১৮ এর মার্চে নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৫১ জন। এছাড়াও ছোটখাটো অনেক প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বছরটিতে। নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক এএসএন বলছে, ২০১৮ সালে ১৫টি প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১০টি দুর্ঘটনা মারাত্মক ছিল। যা গত পাঁচ বছরের সবচেয়ে মারাত্মক ২৫টি দুর্ঘটনার তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও গত ২০ বছরের তুলনায় এখন কমই প্লেন দুর্ঘটনা ঘটছে; পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এএসএন প্রধান নির্বাহী (সিইও) হারো রেন্তার বলেছেন, গত ১০ বছরের তুলনায় এ পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আগে বছরে গড়ে ৩৯টি প্লেন দুর্ঘটনায় পড়তো। তার মধ্যে ২০০০ সালে ৬৪টি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। তবে ২০১৭ সাল ছিল আকাশপথে ভ্রমণের সবচেয়ে নিরাপদ বছর। ২০১৭ তে যাত্রীবাহী কোনো প্লেন বিধ্বস্ত হয়নি। এছাড়া বিগত বছরগুলোর ইতিহাসে কমার্সিয়াল এয়ারলাইন্সগুলো সবচেয়ে নিরাপদে ছিল এই সালে।