নিজস্ব প্রতিবেদক
প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ মোকাবিলায় টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের এমন কোন বস্তু নেই যেখানে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যাবে না। এমনকি সমুদ্রের জলজ প্রাণির পেটেও প্লাস্টিক চলে গিয়েছে। এ মহামারি থেকে বাঁচতে হলে এর বিকল্প পণ্যের উদ্ভাবনের পাশাপাশি সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। গতকাল চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই উদ্ভাবন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মাদ নূরুল্লাহ নূরী।
তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের সময় দেখা যায়, নদীর তলদেশে প্রায় তিনতলা সমান পলিথিন আর প্লাস্টিক বর্জ্য জমে গেছে। এত পরিমাণ বর্জ্য ড্রেজিং করতে বেগ পেতে হয়েছে। এর থেকে বাঁচাতে হলে নদীর সাথে যুক্ত খালগুলোর মুখেই এ বর্জ্যগুলো আটকে দিতে হবে। এজন্য দরকার টেকসই উদ্ভাবন।
চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নালা পরিস্কার মূল সমস্য হলো প্লাস্টিক। একবার পরিস্কার করতে করতে আবার প্লাস্টিকে ভরে যায়। এমনও হয়েছে একটা নালা বছরে তিন থেকে চার বার পরিস্কার করতে হয়েছে। এরপরেও পলিথিন, প্লাস্টিকমুক্ত রাখা যায় না। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে আমাদের সচেতন হাওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্লাস্টিক বর্জ্যরে সমাধানের পথ খুঁজতে সবার যৌথ অংশগ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া সামাজিক সংগঠন নবজাগরণের রকিবুল হাসান রাকিবসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি, কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।