চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ আমাদের নদী, সাগর, মহাসাগর ও ভূমিকে বিষাক্ত করছে, সামুদ্রিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পলিথিন বর্জ্য নালা-নর্দমা, খাল গিয়ে সেগুলোকে ব্লক করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এগুলো দ্বারা ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাবে জনজীবন, জনস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্যসহ জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্লাস্টিক বর্জ্য চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই, এই দূষণ প্রতিরোধ করতে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো সম্পদে রূপান্তর করতে প্রত্যেক স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ খুব দরকার। নয়তো আরো ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে পারে পরিবেশ ও পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে।’
তিনি গতকাল ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ইনসেপশন ওয়ার্কশপ: প্লাস্টিক বর্জ্য পরিমাপ এবং পাট প্রতিস্থাপন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চুয়েট-এর পুরকৌশল বিভাগের অধীন সাসটেইনেবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইররিভার্সিবল পলিউশন বাই প্লাস্টিকস (এসসিআইপি প্লাস্টিকস) প্রজেক্টের উদ্যোগে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল ও পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভুঁইয়া, গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আসিফুল হক এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের বৈজ্ঞানিক পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের জুনিয়র এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জি. মো. আজিজুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি