প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব বিভাগে পৌষ পার্বণ

1

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে পৌষ পার্বণ-২০২৫ আয়োজন করা হয়েছে। ৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় এই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির। বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহকারী অধ্যাপক ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। তিনি বলেন, পিঠা উৎসব খুবই আনন্দের। কিন্তু পিঠা তৈরির উপকরণ যেখান থেকে এসেছে, সেই জায়গাটা আনন্দের নয়। গ্রামের কৃষকের কঠোর শ্রম ও ঘাম এই উপকরণ অর্থাৎ চাল বা ধানের সঙ্গে জড়িত। তারাই এই চাল বা ধান উৎপাদন করে থাকে। কিন্তু তারপরও তাদের দারিদ্র ঘোচে না।
রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, শহরকেন্দ্রিক জীবন গড়ে উঠার প্রবণতার কারণে আমাদের গ্রামের পিঠা সংস্কৃতি মলিন হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসবের মাধ্যমে সেই পিঠা সংস্কৃতি আবার উজ্জ্বল করে তুলছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর মীর মো. তরিকুল আলম, সমাজতত্ত¡ ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের প্রভাষক অর্পা পাল ও আবদুল্লাহ আল মোজাহিদ। পৌষ পার্বণ-২০২৫-এ পিঠা ও গহনা প্রদর্শনী ছিল। পিঠা প্রদর্শনীতে পৌষের পসরা, পিঠাকুঞ্জ, পানতোয়া, পাহাড়িয়ানা, চিরায়ত পিঠাঘর, ওডে তো পিঠা, মেহজাবিন ডেজার্ট হেভেন ও পিঠা পার্বণ প্রভৃতি স্টল বাঙালি ও পাহাড়ি পিঠা প্রদর্শন করে। পিঠাগুলোর মধ্যে ছিল নকশি পাক্কন, ফুলঝুরি পিঠা, দুধপুলি, মুক্করি, পাটিসাপ্টা, ছই পাক্কন, নারকেল পুলি, গোলাপের পিঠা, সুজির রসবরা, গুড়ের পায়েস, পানতোয়া, পোয়া, জামাই পিঠা, ভাঁপা পিঠা, চুঁই পিঠা, চিতই পিঠা, ব্যাম্বু সিকেন, ফ্রাওসা লাকসু, কলা পাতার পিঠা, সাইন্না পিঠা. পয়জারা, চিকেন লাকসু ও বাড়া পিঠা প্রভৃতি। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরে পৌষ পার্বণ-২০২৫-এর সমাপ্ত হয়। বিজ্ঞপ্তি