প্রাণ বাঁচাতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পপি!

1

কখনও কখনও বাস্তব জীবনের গল্প হার মানায় সিনেমার গল্পকেও। আর সেখানে যদি পাত্র-পাত্রী হয় সিনেমারই মানুষ, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? স¤প্রতি নায়িকা সাদিকা পারভীন পপির গল্প যারা শুনেছেন তারা হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পারবেন। পপি নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ঢালিউডে শক্ত একটি জায়গা গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সিনেমা থেকে হারিয়ে যান তিনি। বিভিন্ন সময়ে পপি বলেছেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একেবারেই কথা বলতে চান না। কিন্তু যার কপালে একবার তারকা খেতাব জুটে যায়, তাকে নিয়ে তো কথা হবেই। পপিকে নিয়েও কথা হয়েছে বিস্তর। তবে তিনি নিজে কিছু বলেননি কখনও।
অবশেষে চার বছর আড়ালে থাকার পর মা ও বোনের জেরে, থানায় জিডির খবর দিয়ে আবারও প্রকাশ্যে আসে পপি সমাচার। এবার আর রাখঢাক রাখেননি তিনি। বলা যায় এতদিনের চাপা কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রণা উগরে দিয়েছেন মিডিয়ার সামনে।
পপি বলেন, ‘সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনা চক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেলো। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ে এমন একজন বন্ধুকে যদি না পেতাম, আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে হতো’। স্বামী আদনানই তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানান পপি। তিনি এও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন। পপির ভাষ্যে, ‘২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করি বাসায় কাজি ডেকে। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতো না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।’