প্রাকৃতিক পণ্যে অভ্যস্ত হওয়ার বিকল্প নেই

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোন পণ্য কেনার পর প্লাস্টিকের ব্যাগের বদলে কাপড় বা কাগজ কিংবা পাটের ব্যাগে নেওয়া যায়। প্লাস্টিকের ব্রাশের বদলে বাঁশের তৈরি ব্রাশ ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের চামচ, থালার বদলে বাঁশের তৈরি চামচ-থালা ব্যবহার করা যায়। এগুলো বর্তমানে প্লাস্টিকের বিকল্প বলা হলেও ব্যবহার কম। একটা সময় মানুষ প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হলেও বর্তমানে প্লাস্টিকে অভ্যস্ত। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বদলে প্রাকৃতিক পণ্যে অভ্যস্ত হওয়ার বিকল্প নেই।
গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনীতে সবার কণ্ঠে ছিল এমন সুর। মানুষের মাঝে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহারে উৎসাহ দিতে এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ পণ্য প্রদর্শনীতে অংশ নেন ইকো ভ্যালি, ইপসা, কাগজ মালিক সমিতি, গ্রিন বিডি ও ইযুথ থ্রি-আর সোসাইটি। তাদের ৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের কাগজের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ, কাগজের কলম, বাঁশের তৈরি ব্রাশ, চামচ, সুপারি খোলের বিভিন্ন ধরনের প্লেট, পচনশীল পলিথিন পণ্য প্রদর্শিত হয়।
থ্রি-আর সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাজারাতুল ইসলাম ইয়াকিন বলেন, ‘প্লাস্টিকের ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি। প্লাস্টিকের কারণে শুধু পরিবেশের ক্ষতি না, এ পণ্য ব্যবহারে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়ে সচেতন করছি। পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের সাথে মানুষের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। চাহিতামত সেসব পণ্য তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছি। প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছি।’
এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আলোচকরা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে প্লাস্টিক ও একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য প্রকৃতি এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। পরিবেশ সংরক্ষণে বিকল্প উপকরণ ব্যবহারে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তারা।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট বা যে কোন ফোরামে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধের কথা বললে বিকল্প পণ্য বাজারে সহজলভ্য করার কথা বলা হয়। তাই আজ এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিকল্প পণ্যের সহজলভ্যতা প্রচার পাবে। প্রদর্শনী পরবর্তীতে বিভিন্ন বাজারে আরও ব্যাপক পরিসরে আয়োজন করা হবে।’