নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীতে ব্যাটারিরিকশার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বলে দাবি করেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম শেখ জাবেদ। তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ জনসংখ্যার বসবাস চট্টগ্রাম নগরীতে উক্ত নগরীর মোট রাস্তার আয়তন প্রায় ১৭০ বর্গ কিলোমিটার উক্ত শহরে প্রধান সড়কের চেয়ে উপ-সড়ক ও গলির সড়ক অনেক বেশি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। স্বল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বৈধ অবৈধ তোয়াক্কা না করে ঝুকে পড়েছে ব্যাটারি রিকশার দিকে। এই গাড়ি চালাচ্ছে অদক্ষ অনভিজ্ঞ চালক যার ফলে দিন দিন রাস্তার দুর্ঘটনা ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এই লাগামহীন গাড়ির লাগাম টেনে ধরতে চাই। এই গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরে প্রত্যেকটি থানায় থানায় সংগঠিত করেছে মালিক-চালক ঐক্য পরিষদ কর্ম পরিকল্পনা হিসেবে ১ম ধাপে চালকদেরকে প্রশিক্ষিত করার কার্যক্রম শুরু করেছে।
শেখ জাবেদ বলেন, চালকগণ প্রশিক্ষিত না হলে দুর্ঘটনা রোধ করা কোন ভাবে সম্ভব হবে না, প্রশিক্ষিত চালকগণকে দেয়া হচ্ছে পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড যে পরিচয় পত্রের কারণে রোধ হবে গাড়ি হারানো বা গাড়ি দিয়ে চুরি ডাকাতির ঘটনা এবং সকল চালকগণের পরিধানে থাকবে নির্দিষ্ট পোষাক, রোধ করা যাবে রাস্তার যানজট ও দুর্ঘটনা।সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজ বলেন, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে কেউ না কেউ দাড়িয়ে দায়িত্ব নিতে হবে তাহলে চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাট হবে যানজটমুক্ত পরিবেশ হবে সুন্দর। সালামত আলী পুলিশের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অন্যায়কারির পক্ষে আমরা নয় তবে জব্দকৃত গাড়ির জরিমানা ৩২৫০ টাকা হতে ৭৫০ টাকা করতে হবে। জব্দকৃত গাড়ি ২১ দিনের পরিবর্তে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মালিকের হাতে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আর আইন অমান্যকারী চালকের বিরুদ্ধে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আনিসুর রহমান এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে এস এম সুমন, আবুল কালাম খান, মাজেদুল হক, দাউদ হায়দার লাবলু, জসিম উদ্দিন, মো. ওসমানসহ নগরীর বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দগণ উপস্থিত থেকে একযোগে ব্যাটারি রিকশার শৃঙ্খলা ও অনুমোদনের জন্য মেয়রের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
